করোনার প্রকোপ কাটিয়ে ক্রমশ সুস্থ হচ্ছে বাংলা। নতুন বছরে কড়া বিধিনিষেধ জারি করে অনেকটাই কমেছে সংক্রমণ। একলাফে বেশ খানিকটা কমল অ্যাকটিভ কেসও। জানানো হল, এখন থেকে আরটিপিসিআর টেস্টে খরচ হবে অনেকটাই কম। বৃহস্পতিবার রাজ্য স্বাস্থ্যদফতরের দেওয়া বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় করোনা আক্রান্ত ৩৬০৮ জন। যার মধ্যে শহর কলকাতাতেই সংক্রমিত ৪২৩ জন। তবে সংক্রমণ ও মৃত্যুর নিরিখে এদিন তিলোত্তমাকে পিছনে ফেলে দিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৫২৪ জন। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১১ জনের শরীরে থাবা বসিয়েছে মারণ ভাইরাস। হাওড়া ও হুগলিতে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত যথাক্রমে ১২২ ও ১৩৩ জন। উত্তরের জেলা জলপাইগুড়ি একদিনে সংক্রমিত ৩২২ জন। ফলে রাজ্যে মোট করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৯ লক্ষ ৮২ হাজার ৮৬২ জন। বর্তমানে রাজ্যের পজিটিভিটি রেট ৯.০২ শতাংশ।
একদিনে কোভিডের বলি ৩৬ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ২০ হাজার ৪৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে কোভিড-১৯-এ। যার মধ্যে শুধুমাত্র উত্তর ২৪ পরগনাতেই মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন ৮ জন। তবে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে আশার আলো দেখাচ্ছেন কোভিডজয়ীরা। গত ২৪ ঘণ্টাতেই যেমন সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫,২১৬ জন। এ নিয়ে মোট ১৯ লক্ষ ৬ হাজার ৬৫৬ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৬.১৬ শতাংশ। বর্তমানে করোনায় চিকিৎসাধীন ৫৫ হাজার ৭২৫ জন। করোনা রোগী চিহ্নিত করতে চলছে টেস্টিংও। রাজ্য স্বাস্থ্যদফতরের বুলেটিন বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪০ হাজার ১৯ জনের। নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে, আগে আরটি-পিসিআর টেস্টের জন্য ৯৫০ টাকা খরচ হত। এবার তা কমে ৫০০ টাকা করা হল। করোনার উপসর্গ থাকলে যাতে টেস্টিং করাতে পিছপা না হন সাধারণ মানুষ, সেই কারণেই এই উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য।