বছরের শুরু থেকেই রামপুরহাট-বর্ধমান লোকাল ট্রেনে নীল-সাদা বগি দেখা গিয়েছে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলের সাফ দাবি ‘দিদি’কে অনুসরণ করে বাঁচতে চাইছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। ঢোঁক গিলে বিজেপি নেতারা বলছেন, রং কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়।
বছরের শুরুতেই রামপুরহাট লোকালের নতুন কোচ নিয়ে চলাচল শুরু করেছে পূর্বরেল। নতুন কোচের রঙের সঙ্গে রাজ্যের নীল সাদা রঙের হুবহু মিল। রাজ্যের সরকারি প্রতিষ্ঠান গুলিতে যে ধরনের নীল সাদা রং থাকে অবিকল সেই রঙে রাঙানো। আগে রেলের লোকাল কোচের রং থাকত খয়েরি। দূরপাল্লার রং গাঢ় নীল। যদিও রাজধানী ট্রেনের রং এখনও লাল। তবুও রাজ্যের সঙ্গে মিলে যাওয়া এমন রং আগ্রহ জাগিয়েছে যাত্রীদের।
রাজ্যের ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কেন্দ্র তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্পকে অনুসরণ করে বেঁচে আছে। মুখ্যমন্ত্রী কন্যাশ্রী করলেন। কেন্দ্র করল বেটি বাঁচাও। কিন্তু সেই বেটি বাঁচাওয়ে কত টাকা বরাদ্দ করে কেন্দ্র। দিদি নীল-সাদা রঙ করে রাজ্যজুড়ে একটা সাযুজ্য আনতে চাইল। রেল এখন তাকে দেখে নীল সাদা রং করছে। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নকল করা ছাড়া আর কোনও উপায় নাই কেন্দ্রের।’
যদিও বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, ‘রং কারও ব্যক্তিগত নাকি। কেন্দ্রীয় সরকার সঙ্গে রেল কমিটি যা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটাই রেলের বগির রং হয়েছে।’ আবার কেন্দ্রীয় রেল বোর্ডের সদস্য শতাব্দী রায় জানান, ‘গেরুয়া রং ছেড়ে মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দের রং যদি কেন্দ্রের পছন্দ হয়ে থাকে, সেটা তো আনন্দের। দিদির রুচিকে মান্যতা দিচ্ছে দেশের সরকার। আমি চাইব এই রং দেশজুড়ে ছেয়ে যাক।’