ভারতে কর্মসংস্থানের গ্রাফ ক্রমশ নীচের দিকে নামছে। বিশেষত গত পাঁচ থেকে ছয় বছরে পরিস্থিতি এতটাই অবনতি হয়েছে যে অনেকেই দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। রয়টার্সের একটি রিপোর্ট বলছে, দেশের বহু যুবক চাকরি না পেয়ে কানাডা পাড়ি দিচ্ছেন। এমন উদাহরণ দেশে ভুরি ভুরি।
মুম্বইয়ের সেন্টার ফর মনিটারিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি’র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতিতে অর্থনীতির অবস্থা অবনতি হওয়াতে কর্মসংস্থানের পরিস্থিতি আরও খারাও হয়েছে। আর এর জেরেই দেশ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে তরুণ প্রজন্ম। এমনটাই বলছে ওই প্রতিবেদন।
এক যুবক তথ্য-প্রযুক্তি নিয়ে পড়াশুনা করার পরেও চাকরি পাননি। পরে কানাডার ওয়ার্ক ভিসা জোগার করে পাড়ি দিয়েছেন সে দেশে। এই সমস্ত যুবকেরা বলছেন, কানাডায় চাকরির অভাব নেই। আর সেই ভরসাতেই ভিন দেশে পাড়ি দিচ্ছেন তাঁরা। রয়টার্সে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ভারতের চাকরির পরিস্থিতির কথা জিজ্ঞেস করলে তাঁরা বলছেন, এদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হলেও হয় প্রতারণা না হলে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে।
মুম্বইয়ের সেন্টার ফর মনিটারিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি বলছে, ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে ভারতে কর্মহীনতার হাত ২৩.৫ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল। গত মাসে সেই হার নেমেছে আরও নিচে। তথ্য বলছে তা নেমে হয়েছে ৭.৯ শতাংশে। এদিকে কানাডাতে ডিসেম্বরের রিপোর্ট অনুযায়ী কর্মহীনতার হার কমেছে অনেকটাই। ৫.৯ শতাংশে নেমেছে সেই হার। রিপোর্ট বলছে, ভারতের যা অর্থনীতির পরিস্থিতি তাতে নতুন করে চাকরির সুযোগ তৈরি হচ্ছে না। আর সেই কারনেই বিপদে পড়েছে এই তরুণ প্রজন্ম।
মুম্বইয়ের সেন্টার ফর মনিটারিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর মহেশ ব্যাস রয়টার্সকে জানিয়েছেন, কর্মহীনতার হার যা দেখা যাচ্ছে পরিস্থিতিটা আসলে এর থেকেও খারাপ। এই প্রসঙ্গে অনেকেই নরেন্দ্র মোদী সরকারকে দায়ী করেছেন। বিরোধীরা বলছেন ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার সময়ে লক্ষাধিক কর্মসংস্থানের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সেই স্বপ্ন পুরনে মোদী ব্যর্থ হয়েছেন। এমনটাই র্যটার্সের প্রতিবেদনে জানাচ্ছেন বিরোধীরা।