মঙ্গলবার প্রকাশ্যে দলীয় নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন রীতেশ, জয়প্রকাশরা। তাঁদের দাবি, গোটা বাংলাতেই নেতা, কর্মীদের মধ্যে নতুন রাজ্য কমিটি নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এখন তাই বর্তমান রাজ্য নেতারা পারলে জেলা সফর করে দেখান।
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে জয়প্রকাশ কার্যত তৃণমূলের কথাকেই মেনে নিলেন। তাঁর সাফ কথা, ‘বাইরের লোকজনই বাংলার বিজেপিকে ডুবিয়ে দিল।’ বাইরের লোক কারা? এ ব্যাপারে জয়প্রকাশ দুটি ক্যাটেগরি করেছেন। তাঁর কথায়, ‘এক ধরনের বাইরের লোক হচ্ছে, অন্য দল থেকে লাইন দিয়ে আসা এবং দুই বাংলার বাইরের রাজ্যের নেতাদের এনে এখানে ভোট করানো।’ তাঁর কথায়, ‘যাকে তৃণমূল বলেছিল বহিরাগত, সেটাই বাংলার বিজেপিকে দুর্বল করেছে।’
সেইসঙ্গে জয়প্রকাশ স্পষ্ট করে বলেন, ‘বিরোধী রাজনীতি কীভাবে করতে হয় তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে শেখা উচিত। উদাহরণ দিয়ে জয়প্রকাশ বলেন, বাংলার বিজেপি শুধুমাত্র হাইকোর্ট নির্ভর। আর ২০০৮-০৯ সালে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বামপন্থীদের বিরুদ্ধে লড়ছিলেন, তখন তাঁর লড়াই ছিল মাঠে-ময়দানে। তিনি কখনও আদালতের মুখাপেক্ষী হয়ে বসে ছিলেন না।’
জয়প্রকাশ এদিন আরও বলেন, ‘আমি একসময় কংগ্রেসি রাজনীতি করতাম। সেখানেও হাইকম্যান্ড কালচার ছিল। এখানেও তাই। আমি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে অনেক বলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কেউ শোনেননি।’ জয়প্রকাশের কথায়, ‘ভার্চুয়াল বৈঠকে কথা বলতে দেওয়া হয় না। কেউ কিছু বলতে গেলে আইটি টিম মাইক অফ করে দেয়।’
অনেকের মতে, হারের পর বিজেপির ভিতরে যে দ্বন্দ্বের আগুন জ্বলছিল তা মালুম হচ্ছিল। কিন্তু তা যেন এই জানুয়ারির শেষে দাবানলের আকার নিয়েছে।