নেতাজি-রহস্য উদ্ঘাটনে উদ্যোগী নয় মোদী সরকার। সম্প্রতি এই অভিযোগ করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার তাঁরই কথার অনুরণন তৃণমূলের মুখপাত্রের সম্পাদকীয় স্তম্ভে। লেখা হল, ‘কেঁচো খুঁড়তে কেউটে’ বেরোনোর ভয়েই নেতাজি রহস্যভেদে আগ্রহ নেই দিল্লির।
সোমবারই ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নাম বাংলার পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, ‘১৯৪৩ সালে নেতাজি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে শপথ নেন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে। মাথায় রাখতে হবে, সেই সময় অখণ্ড ভারতবর্ষ ছিল। পরাধীন অখণ্ড ভারতবর্ষ। উপনিবেশকালে এটি তিনি করেছিলেন। নিজের ক্যাবিনেট গঠন করেছিলেন। এটি সিলেবাসে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও রাজনৈতিক বা সময়কালীন কোনও প্রশ্ন আছে কি না, সেটা আমরা সিলেবাস কমিটিকে বিবেচনা করতে বলব।’
পর দিন সকালেই শিক্ষামন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের ভূয়সী প্রশংসা করে সম্পাদকীয় লিখেছে রাজ্যের শাসক দলের মুখপত্র। তাতে এক দিকে যেমন কেন্দ্রের নেতাজিপ্রেমকে ‘রাজনৈতিক’ হিসেবে দাবি করার পাশাপাশি সুভাষচন্দ্র বসুকে বর্তমান তৃণমূল সরকারের ‘পথপ্রদর্শক’ হিসেবেও বর্ণনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, নেতাজি রয়েছেন বাঙালির ভাবাবেগে, বাঙালির ভাবাদর্শে।
এর পরই সম্পাদকীয়তে সরাসরি আক্রমণ করা হয়েছে দিল্লীর মোদী সরকারকে। বলা হয়েছে, নেতাজি সংক্রান্ত কোনও ফাইল প্রকাশ্যে আনার আগেই কেন্দ্রের সরকার বলে দেয়, তা স্পর্শকাতর। সম্পাদকয়ীয় স্তম্ভে লেখা হয়েছে, ‘কেন্দ্রীয় সরকার আহাম্মক হতে পারে, ভারতবর্ষের মানুষ নন।’ তৃণমূলের মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, ‘প্রায় আশি বছর আগের ঘটনার পর পৃথিবীর মানচিত্রটাই বদলে গিয়েছে। অনেক গবেষকই বলছেন, কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরোনোর ভয়।’