কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সংঘাত ক্রমশ ঘনীভূত হয়েছে। বর্তমানে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তী এবং প্রজাতন্ত্র দিবসে নেতাজীর ট্যাবলো, এই নিয়েই এখন জোর চর্চা চলছে। এরই মধ্যে নেতাজীকে নিয়ে বড় ঘোষণা করে দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। নেতাজীকে প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাঠ্য পুস্তকে আনার জন্য সিলেবাস কমিটিকে পর্যালোচনা করার নির্দেশ ব্রাত্য বসুর। ব্রাত্য বসু বলেন, “১৯৪৩ সালে নেতাজি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াতে শপথ নেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। মাথায় রাখতে হবে, সেই সময় অখণ্ড ভারতবর্ষ ছিল। পরাধীন অখণ্ড ভারতবর্ষ। উপনিবেশ কালে এটি তিনি করেছিলেন এবং নিজের ক্যাবিনেট গঠন করেছিলেন। এটি সিলেবাসে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও রাজনৈতিক বা সময়কালীন অভিঘাত আছে কি না, সেটি আমরা সিলেবাস কমিটিকে বলব। এখানে সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যানও রয়েছেন। তাঁকে আমরা বলব বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার জন্য।”
প্রসঙ্গত, এর আগে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে নেতাজির অবদানকে বিভিন্নভাবে স্বীকৃতি দিতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রের মোদী সরকারকে। পরাধীন ভারতের বাইরে যে আজাদ হিন্দ সরকার নেতাজী গঠন করেছিলেন, সেই আজাদ হিন্দ সরকারের দেশের স্বাধীনতার লড়াইয়ে অনস্বীকার্য অবদান ছিল, তা বিভিন্ন সময়ে বুঝিয়ে দিয়েছে মোদী সরকার। ২৩শে জানুয়ারি নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তীকে পরাক্রম দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আগেই। এই বছর দিল্লীতে ইন্ডিয়া গেটে অমর জওয়ান জ্যোতিকে ন্যাশনাল ওয়ার মিউজিয়ামে মিলিয়ে দিয়ে সেখানে নেতাজীর মূর্তি স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যতদিন না মূর্তি স্থাপন হচ্ছে ততদিন হলোগ্রাম মূর্তি থাকবে নেতাজীর। কিন্তু দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের তরফে আধিকারিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।