কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক মন্তব্য নিয়ে ঝড় উঠেছে বঙ্গ রাজনীতিতে। দিকে দিকে কল্যাণের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। আদালতেও তৃণমূল সমর্থিত আইনজীবী সেল বিক্ষোভ দেখান কল্যাণের বিরুদ্ধে। বিস্ফোরক সব অভিযোগও আনেন। এসবের মধ্যেই শুক্রবার একটি মামলার শুনানি চলাকালীন আদালতে দাঁড়িয়ে কেঁদে ফেললেন কল্যাণ।
ঠিক কী হয়েছিল? শুক্রবার রেশন ডিলারদের একটি মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। শুনানি শেষ হওয়ার পর বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য তাঁর কাছে জানতে চান, ‘আপনি কি শারিরীক ও মানসিকভাবে সুস্থ আছেন’? তারই উত্তরে কল্যাণ বলেন, শারীরিকভাবে সুস্থ তিনি। তবে আপাতত ‘মানসিকভাবে অ্যালার্ট’ রয়েছেন। এরপরই আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি কল্যাণ। চোখের জল ফেলে বলেন, ‘জীবনে অনেক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি। দমে যাইনি’।
এ প্রসঙ্গে তুলে আনেন ভিখারী পাসোয়ান মামলার কথা। তিনি জানান, এই মামলা চলাকালীন তাঁর ছেলেকে কিডন্যাপ করার হুমকির মুখে পড়তে হয়েছিল। কিন্তু তিনি দমেননি। তার পরেও বিভিন্ন সময়ে সমস্যার মুখে পড়েছেন, কিন্তু অবিচল থেকেছেন।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে কল্যাণ বলেছিলেন, মমতা ছাড়া কাউকে নেতা বলে মানি না। সেই নিয়েই বিতর্কের শুরু।এই প্রসঙ্গে গোয়া থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তো ঠিকই বলেছেন। আমিও তাই বলছি। আমারও নেত্রী মমতা। আর কাউকে নেতা মানি না’। এরপরই আদালতে দাঁড়িয়ে আর আবেগ ধরে রাখতে পারেননি কল্যাণ।