একুশের ভোটে ভরাডুবির পর থেকেই বঙ্গ-বিজেপির অন্দরে চলছে মুষল পর্ব। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার দল। এরই মধ্যে রাজ্য কমিটিতে মতুয়া কমিটি না থাকায় দলের অন্দরে ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে ‘বিদ্রোহের’ সুর। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ, কলকাতায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে বৈঠক, বনগাঁয় চড়ুইভাতি, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ, লোকাল ট্রেন থেকে কলকাতার রাজপথে পোস্টার— নানা ভাবে রাজ্য বিজেপি-র ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সরব দলেরই একাংশ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দাবি, নতুন রাজ্য কমিটিতে পুরনোদের ফিরিয়ে আনা অথবা সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীর অপসারণ। এই পরিস্থিতিতে এবার বিক্ষুব্ধদের প্রতি এবার বেশ কড়া মনোভাবই নিচ্ছে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেই রকম ইঙ্গিতই মিলেছে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের তরফে।
দিল্লী থেকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে কড়া বার্তা দিয়েছেন দিলীপ। তিনি জানিয়েছেন, ‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিজেই দলে নতুন এসেছেন। বিজেপি তাঁকে পদ দিয়েছে, সম্মান দিয়েছে, মন্ত্রী করেছে। তিনি নিজেও একটি সামাজিক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত। ফলে এই বিষয়গুলি মাথায় রেখেই সকলের কথা বলা উচিত। বিজেপিতে নির্দিষ্ট কমিটি আছে। তার দায়িত্বপ্রাপ্তরা রয়েছেন। তাঁরাই পুরোটা দেখবেন। বিপ্লব করে খবরে থাকার চেষ্টা করবেন না।’ মনে করা হচ্ছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশেই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে এই কড়া বার্তা দিয়েছেন দিলীপ। একই সঙ্গে সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫ রাজ্যের ভোট মিটলেই বঙ্গ বিজেপির বিক্ষুব্ধদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেক্ষেত্রে শান্তনু ঠাকুরের মন্ত্রিত্বে কোপ পড়তে পারে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি সায়ন্তন বসু, জয়প্রকাশ মজুমদারদের মতো বিক্ষুব্ধ নেতাদেরও আরও কোণঠাসা করে দেওয়া হতে পারে।