আসন্ন উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব৷ তাঁর জন্য খোঁজা হচ্ছিল নিরাপদ আসন৷ জল্পনা ছড়ায়, আজমগড়ের গোপালপুর বা সম্বলের গুন্নুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হতে পারেন তিনি৷ কনৌজ অথবা মইনপুর সদরের কথাও বিবেচনা করা হচ্ছিল৷ অবশেষে সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমোর জন্য আসন একপ্রকার চূড়ান্ত করল দল৷ আসন্ন বিধানসভা ভোটে কারহাল কেন্দ্র থেকে লড়তে পারেনমুলায়ম-পুত্র৷ মইনপুর জেলার অন্তর্গত কারহাল কেন্দ্রটি সপা-র অন্যতম দুর্গ বলেই পরিচিত৷ ২০শে ফেব্রুয়ারি ওই কেন্দ্রে নির্বাচন৷ অখিলেশ প্রার্থী হলে তা এবারের বিধানসভা ভোটে চমকপ্রদ ঘটনা হয়ে থাকবে৷ কারণ, বিধানসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অভিজ্ঞতা তাঁর নেই৷ ২০১২ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলালেও ওই সময় তিনি ছিলেন বিধান পরিষদের সদস্য৷ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে আজমগড় থেকে জিতে সাংসদ হন৷ এখনও তিনি আজমগড়ের সাংসদ৷
উল্লেখ্য, আসন্ন উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে অখিলেশই হয়ে উঠেছেন প্রধান বিরোধী মুখ৷ এ জন্য অনেক পরিশ্রমও করতে হয়েছে তাঁকে৷ হাই ভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই মাঠে নেমে পড়েন তিনি৷ যোগী-মোদীর প্রবল প্রতাপে হারিয়ে যাওয়া জমি ফিরে পাওয়ার চেষ্টা শুরু হয় তাঁর৷ কয়েকমাস ধরে রাজ্যজুড়ে বিজেপির বিরুদ্ধে জোরদার প্রচার তাঁকে প্রধান বিরোধী মুখ হিসেবে তুলে ধরতে সাহায্য করে৷ তখন সপার অন্দরে আওয়াজ ওঠে, ভোটে প্রার্থী হোক অখিলেশ৷ দাবি জোরালো হতেই অখিলেশ এ নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু করেন৷ বুধবার তিনি বলেন, “আজমগড়ের মানুষের অনুমতি নেওয়ার পরই ভোটে লড়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব৷ কারণ, ওরাই আমাকে নির্বাচিত করে সংসদে পাঠিয়েছেন৷” এই মুহূর্তে কারহাল কেন্দ্রের বিধায়ক সোবারন সিং যাদব৷ যিনি সমাজবাদী পার্টিরই নেতা৷ ১৯৯৩ সাল থেকে সাতবার এই কেন্দ্রে জয়ী হয় সপা৷ ২০০২ সালে শুধু বিজেপি জেতে কারহালে৷ ২০১৭ সালে প্রবল মোদী হাওয়াতেও আসনটি ধরে রাখতে সক্ষম হয় সমাজবাদী পার্টি৷ প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চলা অখিলেশের জন্য কারহাল কেন্দ্রটি নিরাপদ বলে মনে করছে সমাজবাদী পার্টি৷