কোভিড অতিমারী কালে ক্রমশই দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার তথৈবচ দশা প্রকট হয়ে ধরা দিয়েছিল। তার পর থেকে উন্নততর পরিকাঠামো গড়ে তোলার উদ্যোগ শুরু হয়েছে সর্বত্রই। সেই তালিকায় নাম লেখাল দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালও। সেখানে হাসপাতালে নিজস্ব অক্সিজেন প্লান্ট গড়ে উঠতে চলেছে। লক্ষ্যে পৌঁছতে দ্রুত গতিতে কাজ শুরু হয়েছে সেখানে। আগামী এক মাসের মধ্যেই পাইপ লাইনের মাধ্যমে হাসপাতালের প্রত্যেক শয্যায় নলবাহিত অক্সিজেন পৌঁছে যাবে বলে আশাবাদী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে এই অক্সিজেন প্লান্ট গড়ে উঠতে চলেছে। সেখানে প্রতিদিন ১ হাজার লিটার অক্সিজেন উৎপাদনের লক্ষ্য রাখা হয়েছে, যাতে চাহিদা মেটাতে বাইরে থেকে হাসপাতালে অক্সিজেনের জোগান দিতে না হয়। করোনা আক্রান্ত রোগীই হোন বা অন্য বিভাগে ভর্তি রোগী, সকলকে হাসপাতালের প্লান্ট থেকেই অক্সিজেনের জোগান দিতে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার।
প্রসঙ্গত, দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে বেশ কয়েক বার অক্সিজেনের সংকট দেখা গিয়েছে। তাই অক্সিজেন প্লান্ট বসলে আর তেমন বিপত্তির মুখে পড়তে হবে না বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানিয়েছেন, প্লান্ট বসানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। শীঘ্র তা সম্পূর্ণও হয়ে যাবে। আগে বাইরে থেকে অক্সিজেন আসত। তার পর সিলিন্ডার বয়ে নিয়ে যেতে হতো ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে। অনেক সময়ই তাতে দেরি হয়ে যেত। সমস্যায় পড়তেন চিকিৎসকরা। নিজস্ব প্লান্ট থাকলে আর বাইরে থেকে অক্সিজেন আসার অপেক্ষা করতে হবে না। এই অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি করতে খরচ পড়ছে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। প্লান্ট গড়ে উঠলে হাজার হাজার রোগী উপকৃত হবেন। রাজ্য সরকার এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের আত্মীয়-পরিজনরা। এক ব্যক্তি বলেন, “এই উদ্যোগ সত্যিই অভাবনীয়। এমনিতেই দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পরিষেবা উন্নত হয়েছে। আরও উন্নত করার জন্য এই অক্সিজেন প্লান্ট বসানোর সিদ্ধান্ত ভাল।” দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে সুপার ধীমান মণ্ডল বলেন, “আগামী এক মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে এই প্লান্টের কাজ।প্লান্ট থেকে সরাসরি ওয়ার্ডগুলিতে পৌঁছে যাবে অক্সিজেন।” দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান কবি দত্ত জানিয়েছেন, প্লান্ট বসানো শেষ হলে আরও বেশ কিছু পরিকল্পনার বাস্তবায়নের কাজে দ্রুত হাত দেবেন তাঁরা।
