বড়সড় বিপাকে পড়ে গেলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার। গাইঘাটা থানার পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে। জাতীয় সড়ক ও বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে এই মামলা রুজু করা হলেও এই ঘটনার পিছনে যে অনুঘটক হিসাবে স্বপনবাবুর এনকাউন্টার করার হুমকি কাজ করছে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
এখানে গণতান্ত্রিক ও সংবিধানিক উপায়ে সরকার ও প্রশাসনের কাজ হয়। যদি এনকাউন্টারের মানসিকতা থাকে তাহলে জেলে জায়গা হবে। উনি নিজে পাল্টি খেতে পারেন আশ্রয় পাওয়ার জন্য।’ ফিরহাদের এই সতর্কবার্তার পরে পরেই গাইঘাটা থানার পুলিশের স্বপনের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজুর ঘটনা বলেই দিচ্ছে বিজেপি বিধায়ক যে কোনও সময় গ্রেফতার হতে পারেন পুলিশের হাতে।
ঘটনার জেরে কিছুটা হলেও কোনঠাসা হয়ে গিয়েছেন স্বপনবাবু। কেননা তাঁর এলাকায় মতুয়া সম্প্রদায়ের ভোটার রয়েছেন বেশ ভাল সংখ্যায়। আর এই মতুয়া ভোটের এখন হর্তাকর্তা বিধাতা হয়ে উঠেছে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। সেই শান্তনুর সঙ্গেই হাত মেলাননি স্বপনবাবু। বরঞ্চ শান্তনুদের বিবাদকে দলের তরফে কটাক্ষ হেনেছেন তিনি। ফলে নিজ এলাকায় স্বপনবাবু এখন অনেকটাই একা হয়ে পড়েছেন। তার মধ্যে পুলিশের এই পদক্ষেপ।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিজেপির পুরভোটের প্রস্তুতি বৈঠক চলাকালীন নদিয়ার গয়েশপুরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। প্রতিবাদে বুধবার বনগাঁর চাঁদপাড়ায় যশোর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। সেখানে একটি প্রতিবাদ সভাও হয়। সেই সভাতেই এনকাউন্টার করে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছিলেন বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার। তাঁর সেই হুমকি সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত ভাইরাল হয়।
তার জেরে তৃণমূলের তরফেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়। রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ও কলকাতা পুরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম এই ঘটনার জেরে সাফ জানিয়ে দেন, ‘পশ্চিমবঙ্গকে কোনওদিন উত্তরপ্রদেশ বা গুজরাত হতে দেব না। এখানে দাঙ্গার রাজনীতি বা এনকাউন্টার করা যাবে না। কারণ এখানকার মুখ্যমন্ত্রী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।