একুশের ভোটযুদ্ধে বিজেপিকে রুখে দিয়ে বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। আর তারপরেই আগামী লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে শুরু হয়েছে অন্যান্য রাজ্যে সংগঠন বিস্তার করে দলকে সর্বভারতীয় স্তরে মেলে ধরার চেষ্টা। আর তারই ফলস্বরূপ বিজেপি বিরোধিতায় জাতীয় রাজনীতিতে ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তৃণমূল। প্রধান মোদী বিরোধী মুখ হচ্ছেন মমতা। এই অবস্থায় সংগঠন ঢেলে সাজাতে চলেছে তৃণমূল। আগামী মাসের ২ তারিখ তৃণমূলের সাংগঠনিক ভোট হতে চলেছে। যা ধাপে ধাপে ৩১ মার্চের মধ্যে শেষ করা হবে। ইতিমধ্যেই তা জানিয়েছেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে ক্ষমতায় আসার ১০ বছরের মধ্যে বহরে বৃদ্ধি পেয়েছে বাংলার শাসকদল। ২৪ বছর আগে দল যেখানে ছিল, তার থেকে এখন অনেক বড় জায়গায় রয়েছে। সময়ের সঙ্গে দলের পরিকাঠামো এবং কাজ করার ধরনেও বদল এসেছে। তাই শীঘ্রই দলের ওয়ার্কিং কমিটির সম্প্রসারণ হবে। সূত্রের খবর, বাড়তে পারে ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য সংখ্যা। ২০২১ এর ভোটের পরে এই মুহূর্তে জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান রয়েছে তৃণমূলের। ত্রিপুরা পুর নির্বাচনে লড়াই করেছে তৃণমূল। সেখানে তারা ২০% ভোট পেয়েছে। গোয়া বিধানসভা ভোটে তৃণমূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছে। এছাড়া মেঘালয়, হরিয়ানার মতো রাজ্যেও সংগঠন বিস্তার করছে বাংলার শাসক দল। তাই সংগঠন ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে আগামীদিনে থাকতে চলেছে একাধিক জাতীয় স্তরের মুখ।