জাল্লিকাট্টু নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। নানা সময়ে এই খেলাকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করেছে বেশ কিছু সংগঠন। যদিও তাতে কাজের কাজ কিছু হয়নি। এবার ফের জাল্লিকাট্টুতে উন্মত্ত ষাঁড়ের গুঁতোয় মৃত্যুর ঘটনা ঘটল তামিলনাড়ুর ত্রিচি জেলায়। এবারে মৃত্যু হল জাল্লিকাট্টু দেখতে আসা এক দর্শকের। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন মোট ৪৫ জন। গুরুতর আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, কোভিডের কারণে গত দুই বছর তামিলনাড়ুর ত্রিচি জেলায় বন্ধ ছিল ঐতিহ্যবাহী উন্মত্ত ষাঁড়ের খেলা জাল্লিকাট্টু। এবারই অল্প সংখ্যক দর্শকের উপস্থিতিতে জাল্লিকাট্টুর অনুমতি দিয়েছিল স্থানীয় প্রশাসন। যদিও টানা বছর দুই জাল্লিকাট্টু না হওয়ায় এদিন বিধিনিষেধ উড়িয়ে বিরাট ভিড় জমে ত্রিচির নাবালুর কুট্টাপাট্টু গ্রামে। সেখানেই উন্মত্ত একটি ষাঁড়ের গুঁতোয় মৃত্যু হল জাল্লিকাট্টুর এক দর্শকের। বছর ২৪-এর যুবক জাল্লিকাট্টু দেখতেই এসেছিল উৎসব প্রাঙ্গনে। জানা গিয়েছে ওই যুবকের নাম এস বিনোথ কুমার।
ঘটনায় আহত হয়েছেন মোট ৪৫ জন। এদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের স্থানীয় মহাত্মা গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। বিনোথকেও দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি তাঁকে। উল্লেখ্য, সপ্তাহ খানেক আগে ত্রিচিতেই আরও এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল জাল্লিকাট্টুতে।
উল্লেখ্য, জাল্লিকাট্টু তামিলনাড়ুর ঐতিহ্যবাহী উৎসব। প্রতিবার পোঙ্গলের সময় এই উৎসব হয়ে থাকে। জাল্লি অর্থাৎ মুদ্রা। আর কাট্টু অর্থাৎ উপহার। এই দুই শব্দের সমন্নয়েই তৈরি জাল্লিকাট্টু। সাধারণত নতুন ধানের খুশি উদযাপনের জন্যই এই খেলায় মাতেন তামিল পুরুষরা। সযত্নে লালনপালন করা হয় বিশাল চেহারার ষাঁড়কে। তারপর তার মাথার শিংয়ে বেঁধে দেওয়া হয় উপহারের মূল্য। পুরুষদের গায়ের জোরে শিং ধরে বশ মানাতে হয় এই হিংস্র প্রাণীটিকে। যিনি পারেন, তিনিই পান মহার্ঘ পুরস্কার।