ইতিমধ্যেই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর সেই নির্ঘন্ট অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশে ভোট শুরু হতে আর এক মাসও বাকি নেই। করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের জন্য প্রচারে তেমন জমায়েত করতে পারছে না কোনও রাজনৈতিক দলই। তাই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির মাধ্যমেই প্রচারে জোর দিচ্ছেন বিভিন্ন দলের নেতা-নেত্রীরা। বিভিন্ন নির্বাচনী গানও (অ্যান্থেম) এর মধ্যে বাজারে চলে এসেছে। আর সেই সব গানের মাধ্যমেও অব্যাহত একে অপরকে খোঁচা দেওয়ার পালা। আপাতত ভোজপুরী গায়িকা নেহা সিংহ রাঠৌরের ‘ইউপি মে কা বা’ নিয়েই মজে নেট-দুনিয়া।
প্রসঙ্গত, পাঁচ মিনিটের ভিডিয়োয় উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের সরকারকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন ভোজপুরী ছবির জনপ্রিয় অভিনেতা তথা বিজেপি সাংসদ রবি কিশন। ভিডিয়োয় গেরুয়া পোশাক পরা অভিনেতাকে গানের সুরে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘এটা যোগীর সরকার, এখানে আছে বিকাশের বাহার, আছে উন্নত সড়ক, এখানে অপরাধীদের ঠাঁই হয় জেলে, করোনা হেরে গিয়েছে, আছে সর্বত্র বিদ্যুৎ পরিষেবা— ইউপিতে আছে সব কিছু’। এই ভিডিয়োটি প্রকাশের মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নেহা তাঁর নিজের ইউটিউব চ্যানেলে গানের ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আনেন। রবিকে বিঁধে তাঁর গানের নাম রেখেছেন, ‘ইউপি মে কা বা’। অর্থাৎ উত্তরপ্রদেশে আছে টা কী। মাত্র এক মিনিটের ভিডিয়োতেই যোগী সরকারকে প্রতি পদে আক্রমণ করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল জনপ্রিয় এই ভোজপুরী শিল্পী।
কোভিডে বিনা চিকিৎসায় রাজ্যে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু থেকে শুরু করে লখিমপুর খেরির ঘটনায় কৃষকদের মৃত্যু, জেলায় জেলায় মহিলাদের উপরে নির্যাতন-ধর্ষণ। সবেতেই মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথকে কটাক্ষ করেছেন নেহা। এমনকি চৌকিদার শব্দটি ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিকেও আঙুল তুলেছেন তিনি। গানের সুরে নেহাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘লাখো মানুষ কোভিডে মারা গেলেন, গঙ্গার জল মৃতদেহে ভরে গেল, মন্ত্রীর ছেলে কৃষকদের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দিল, চৌকিদার বলুন এর দায় কে নেবে? ইউপি-তে আছে টা কী’। গানের একেবারে শেষে রবিরই ভোজপুরী ছবির তুমুল জনপ্রিয় সংলাপ ব্যবহার করেছেন নেহা। বলেছেন, ‘জিন্দেগি ঝান্ডওয়া, ফিরভি ঘমন্ডওয়া’।