রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর শিক্ষা এবং শিল্পের পাশাপাশি কৃষি ক্ষেত্রেও বিশেষ নজর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিগত কয়েক বছর ধরে তাঁর একাধিক যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের ফসল ঘরে তুলছেন বাংলার কৃষকরা। এবার যেমন কৃষি দফতরের পরামর্শে বিকল্প চাষে লাভের মুখ দেখছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণার কৃষকরা। গতানুগতিক চাষ ছেড়ে ব্রোকোলি, রেড ক্যাবেজ, টমেটো, ফুলকপি চাষে বাড়ছে তাঁদের আগ্রহ।
কৃষি দফতরের আতমা প্রকল্পে তেমনই একাধিক উন্নত মানের কফি থেকে শুরু করে টমেটো চাষ করে তাক লাগালো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা ২ নম্বর ব্লকের কৃষক। চন্দ্রকোণা কমরগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা দেবাশিস সামন্ত, ব্লক কৃষি দফতরের সহযোগিতায় আতমা প্রকল্পে আলু চাষ না করে প্রায় তিন বিঘা জমিতে ব্রোকোলি, রেড ক্যাবেজ, ও উন্নত মানের টমেটো সহ বেশ কয়েক ধরনের সবজি চাষ করে তাক লাগালেন।
ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে জৈব সার ব্যবহার করে উন্নত মানের এই কফি লাগিয়ে লাভের মুখ দেখছেন তিনি। ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর ব্রোকলি, রেড ক্যাবেজ-সহ এই সমস্ত কৃষিজ ফসলের চাহিদা বাজারে সব সময় থাকে, তবে এই উন্নত মানের কফি খাওয়ার ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ে মানুষের শরীরে। আগামী দিনে ব্লক প্রশাসন ব্লকের বিভিন্ন কৃষককে এই চাষে উদ্যোগী করিয়ে কৃষকদের লাভের মুখ দেখাতে চায় এমনি জানালেন চন্দ্রকোণা দুই ব্লকের কৃষি আধিকারিক শ্যাম দুলাল মাসান্তো। এলাকার কৃষকদের বিকল্প চাষে বাড়ছে আগ্রহ।
ব্লক কৃষি আধিকারিক শ্যামদুলাল মসান্ত বলেন, ‘এখানে গতানুগতিক উপায়ে আগে চাষ হত। আগে থেকে হত না তা নয়। আমরা এখন গতানুগতিক চাষ ছেড়ে অন্য উপায়ে চাষ করছি। ব্রোকোলি, টমেটো চাষ করছেন। কোয়ালিটিও ভালো। মার্কেট প্রাইজও ভাল।’ তিনি আরও বলেন, ‘করোনার জন্য এমনিতেও চাষের সমস্যা হচ্ছিল। ফলে আমরা একটু ভিন্ন উপায়ে ভাবার চেষ্টা করছি। তাতে ফলও ভাল হচ্ছে।’ চাষিরাও বলছেন, কৃষি দফতরের পরামর্শে আমরা এখন অনেক নতুন চাষ করছি। আশা করি তা পরিস্থিতি কিছুটা হলেও সামাল দেওয়া যাবে।