একুশের ভোটে ভরাডুবির পর থেকেই বঙ্গ-বিজেপিতে চলছে মুষল পর্ব। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার দল। এরই মধ্যে রাজ্য কমিটিতে মতুয়া কমিটি না থাকায় দলের অন্দরে ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে ‘বিদ্রোহের’ সুর। শনিবারই কলকাতায় বিক্ষুব্ধদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। মতুয়া বিধায়ক ও অন্য নেতাদের নিয়ে রবিবার ঠাকুরনগরেও বৈঠক করেছেন তিনি। আর সোমবার বনগাঁয় বনভোজন-বৈঠকে বিক্ষুব্ধদের জড়ো করে গেরুয়া শিবিরের ভাঙনের সম্ভাবনা আরও বাড়ালেন মতুয়া সম্প্রদায়ের এই নেতা।
কোন্দল আর বিভাজনের জেরে বাংলায় বিজেপি যে ‘মৃত্যুপথযাত্রী’, টুইট করে সে কথা জানিয়েছিলেন দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায়। একই দিনে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের গেস্ট হাউসে বিক্ষুব্ধ নেতা-বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন শান্তনুও। তারপর রবিবার তিনি মতুয়া দলপতিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। সেই সূত্র ধরেই গতকাল এক বিজেপি নেতার বাগানবাড়িতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বনভোজন-বৈঠক। আপাতভাবে বিষয়টিকে নেহাতই শীতের চড়ুইভাতি বলে দাবি করা হয়েছে। তবে বিক্ষুব্ধরা যে ক্রমেই সঙ্ঘবদ্ধ হচ্ছেন, সেটা দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট।
সূত্রের খবর, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় নামাঙ্কিত পৃথক একটি ‘মঞ্চ’ গড়ে নিজেদের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার পথেই হাঁটছেন তাঁরা। এদিকে, বনভোজনেও রাজ্য নেতৃত্বকে তোপ দাগতে ছাড়েননি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। বিদ্রোহীদের তরফে তিনি বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি বঙ্গ বিজেপির পক্ষে অশনি সঙ্কেত! সেটা টের পেয়েই নতুন অবস্থান তৈরি করেছি।’ ‘বেসুরো’ এই অবস্থান ঠিক কী কারণে, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘সুরের থেকে বেসুর শুনতে বেশি ভালো লাগলে, সেটাই মানুষের কাছে গৃহীত হয়। আমাদের সেই অবস্থানই আগামী দিনে গ্রহণযোগ্য হতে যাচ্ছে।’