‘মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেবেন সাধারণ মানুষ। ‘ সপ্তাহখানেক আগেই ঘোষণা করেছিলেন আম আদমি পার্টির কনভেনর অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেই মতো ‘মানুষের রায় মেনেই’ পাঞ্জাবে দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে ভগবন্ত মানের নাম ঘোষণা করলেন আপ সুপ্রিমো।
এবারে পাঞ্জাবের নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী বেছে নেওয়ার সুযোগ আমজনতাকেই দিয়েছিলেন কেজরি। টোল ফ্রি নম্বর দিয়ে জনতার কাছে জানতে চেয়েছিলেন তাঁরা কাকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে দেখতে চান। ফোন, এসএমএস এবং হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে নিজেদের পছন্দের কথা জানানোর সুযোগ ছিল আমজনতার কাছে। আম আদমি পার্টির দাবি, তাঁদের এই অভিনব সমীক্ষায় সাড়া দিয়েছেন মোট ২১ লক্ষ ৫৯ হাজার মানুষ। এবং এই বিপুল সংখ্যক মানুষের ৯৩ শতাংশই প্রাক্তন কমেডিয়ান ভগবন্ত মানকে আম আদমি পার্টির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে দেখতে চেয়েছেন।
ভগবন্ত মান প্রশ্নাতীতভাবে এই মুহূর্তে পাঞ্জাবে আম আদমি পার্টির সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। ২০১৪ থেকে পাঞ্জাবের সঙ্গরুর কেন্দ্রের সাংসদ তিনি। একসময় কমেডিয়ান হিসাবে জনপ্রিয় ছিলেন। একাধিকবার বিতর্কেও জড়িয়েছেন। ভগবন্ত মানের বিরুদ্ধে খাস সংসদ ভবনে বসে পর্ন দেখারও অভিযোগ আছে। অতিরিক্ত মদ্যপায়ী বলে দুর্নামও রয়েছে তাঁর। তবে, ইদানিং পাঞ্জাবে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন তিনি। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী পদে কেজরিওয়ালেরও প্রথম পছন্দ ছিলেন মানই। তিনি সেকথা প্রকাশ্যে জানিয়েওছিলেন। কিন্তু মান নিজেই নাকি চাইছিলেন জনতার রায় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করা হোক। সেই মতো গণভোটের আয়োজন করে আপ।
মঙ্গলবার চণ্ডীগড়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, মোট ২১ লক্ষ ৫৯ হাজার মানুষ আপের সমীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে কেউ কেউ তাঁর নিজের নাম দিয়েছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদে। কেউ কেউ আবার কংগ্রেস নেতা নভজ্যোত সিং সিধুর নাম নিয়েছেন। তবে, ৯৩ শতাংশ মানুষ মানকেই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী পদে বেছে নিয়েছেন। মানের নেতৃত্বেই দিল্লির বাইরে প্রথম কোনও রাজ্যে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে নামবে আপ। যদিও, নির্বাচনে আম আদমি পার্টির মূল প্রতিপক্ষ কংগ্রেস কোনও মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করেনি। সেক্ষেত্রে মানের ভাবমূর্তি লড়াইয়ে কিছুটা হলেও এগিয়ে রাখবে আপকে।