কয়লা কাণ্ডে কলকাতা হাই কোর্টের তোপের মুখে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সাক্ষীদের তোপের মুখে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সাক্ষীদের বারবার কেন দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হচ্ছে, কেন কলকাতায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না, প্রশ্ন তুলেছে আদালত। একইসঙ্গে তদন্তের গতি নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থার।
কয়লা পাচার কাণ্ডের অন্যতম সাক্ষী সুমিত রায়। তাঁকে দু’বার সমন পাঠায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট দু’বারই দিল্লীতে তাঁকে ডাকা হয়েছিল। এই সমনকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, এই মামলার একাধিক সাক্ষীকে বারবার দিল্লিতে তলব করা হয়েছে। ইডির এই পদক্ষেপের বিরোধিতাও করেছেন সাক্ষীরা। এবার এই ইস্যুতে কলকাতা হাই কোর্টও তোপ দাগল ইডির বিরুদ্ধে।
সেই সময় ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল হাই কোর্ট। এবার ফের আগামী দু’মাসের জন্য এই রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়াল আদালত। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিকেও তুমুল ভর্ৎসনা করল কোর্ট।
এদিন বিচারপতি রাজশেখর মান্থার প্রশ্ন করেন, “আদালত তো তদন্ত করতে বারণ করেনি। তা সত্ত্বেও কোনও সদর্থক পদক্ষেপ নেই কেন?” সাক্ষীদের বারবার দিল্লিতে তলব করা নিয়েও বিচারপতির তোপের মুখে পড়ে ইডি।
বলেন, “ইডি কি এতই অযোগ্য যে একজন সাক্ষীকে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারছেন না তাঁরা? নিজাম প্যালেস বা অন্যত্র কেন জিজ্ঞাসাবাদ করছে না ইডি?” এর পরই কেন্দ্রীয় সংস্থার যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে আদালত। বিচারপতি মান্থারের কথায়, “মাত্র ২ বার সমন পাঠিয়েই চুপ কেন? ইডি-র এই আচরণ মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।”