প্রথম মোদী সরকারের আমল থেকেই বারবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার শিকার হয়েছে বাংলা। এবারও প্রকাশ্যে এসে পড়েছে মমতার রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বিমাতৃসুলভ আচরণ। দিল্লীতে প্রজাতন্ত্র দিবসের জন্য রাজ্য সরকারের তরফের পাঠানো নেতাজি বিষয়ক ট্যাবলো বাতিল করেছে তারা। যা নিয়ে বিতর্ক থামার কোনও লক্ষণই নেই। থামার লক্ষণই নেই সুভাষ-ট্যাবলো বিতর্কের। এবার যেমন তৃণমূলের মুখপত্রে তীব্র আক্রমণ শানানো হল মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। দলীয় মুখপত্রের সম্পাদকীয় স্তম্ভে প্রশ্ন তোলা হল, নেতাজি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যের বলেই কি তাঁর জীবন ও স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্বলিত বাংলার প্রস্তাবিত ট্যাবলো বাতিল করল কেন্দ্রের মোদী সরকার? ২০২১-এর মতো বাঙালি এই বঞ্চনারও সমুচিত জবাব দেবে বলে সম্পাদকীয় স্তম্ভে লেখা হয়েছে।
প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবন ও স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্বলিত বাংলার প্রস্তাবিত ট্যাবলো বাতিল করার প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়ে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তাঁর দল তৃণমূলের মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে মোদী সরকার তথা বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ শানানো হল। প্রশ্ন তোলা হল, নেতাজি সুভাষ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যের লোক বলেই কি তাঁর জীবনের ওপর তৈরি করা বাংলার প্রস্তাবিত ট্যাবলো প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ থেকে বাদ দেওয়া হল? পাশাপাশি সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, নেতাজিকে এভাবে কোনও রাজ্য, দেশ, কালের মধ্যে আটকে রাখা যায় কি?
সেখানে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক নিজেরাই নেতাজি ট্যাবলো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একে কেন্দ্রের ‘নয়া চক্রান্ত’ হিসেবে অভিহিত করেছে তৃণমূলের মুখপত্রের সম্পাদকীয়। ‘নির্লজ্জ বিজেপি’ শীর্ষক ওই সম্পাদকীয় স্তম্ভের শেষ অনুচ্ছেদে লেখা হয়েছে, ২০২১-এর ভোটে বাংলায় ‘ডেলি প্যাসেঞ্জারি’ করা প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বাঙালি যে ভাবে মুখের উপর জবাব দিয়েছে, এবারও তেমনই সমুচিত জবাব পাবেন তাঁরা। কারণ এর সঙ্গে বাংলা, বাঙালির আত্মসম্মান, আত্মমর্যাদা, আত্ম অহং জড়িয়ে রয়েছে। একুশের নীলবাড়ির লড়াইয়ে তৃণমূলের কাছে হার, বিজেপি এখনও হজম করতে পারছে না বলেই এই সব ‘চক্রান্ত’ করা হচ্ছে বলেও দাবি করা হয়েছে।