ড্রাই স্টেট হিসেবে পরিচিত বিহার। নীতিশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরই বিহারে মদ নিষিদ্ধ করেন। তবে নামেই নিষেধাজ্ঞা। কারণ প্রশাসনের নজর এড়িয়েই দিব্যি বিক্রি হয় তা। আর তারই ফলস্বরূপ বিষমদ কাণ্ডে মৃত্যু মিছিল। যা নিয়ে এমনিতেই বেশ চাপে মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। পরিস্থিতি আরও ঘোরাল করে তুলেছে মর্গের পাশ থেকে মদের খালি বোতল উদ্ধারের ঘটনা। এই মর্গেই ঘটনায় মৃতদের ময়নাতদন্ত চলছিল।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই ঘটনার খবর দিতে গিয়ে জানিয়েছে, তাদের প্রতিনিধিরা বিষমদ সংক্রান্ত খবর সংগ্রহের জন্য গিয়েছিলেন ওই মর্গে। গিয়ে তাঁরা মর্গের মেঝেয় খালি মদের বোতলের ছড়াছড়ি। মর্গের কর্মীদের কাছে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, কেউ জবাব দিতে অস্বীকার করেছেন। কেউ বলেছেন, তাঁরা জানেন না কে বা কারা মর্গের পাশে মদের খালি বোতল রেখে গিয়েছে। এদিকে রাজ্য জেনে গিয়েছে, ১১জনের মৃত্যুর কারণ বিষমদ। কিন্তু সরকার এখনও এই বিষয়ে কোনও বিবৃতি জারি করেনি। রাজনৈতিকমহলের একাংশ মনে করছে, সরকারি বয়ানে বিষমদ উল্লেখ করা হলে তা বিজেপির কাছে অস্ত্র হয়ে উঠবে।
বিজেপি অবশ্য সরকারি বিবৃতির অপেক্ষা না করেই মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের সমালোচনায় সরব হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে রীতিমতো খোঁচা দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সাধারণ সম্পাদক ডা. সঞ্জয় জয়সওয়াল। রবিবার নিজের ফেসবুক পেজে এই ঘটনা নিয়ে তিনি একটি পোস্ট করেন। তাঁর প্রশ্ন, আইন ভেঙে বিষমদ পান করে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, সরকার কি হতদের পরিবারের সদস্যদের জেলে পাঠাবে? তাঁর আরও প্রশ্ন, কী করে প্রশাসনের নাকের ডগায় বিষমদের কারবার চলছে? জয়সওয়ালের মতে, প্রশাসনের মদত না থাকলে কিছুতেই এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে না।