করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, মণিপুর, গোয়ার পাশাপাশি পাঞ্জাবের নির্বাচনী নির্ঘন্টও ঘোষণা করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এবারে পাঞ্জাবে মূলত লড়াই চতুর্মুখী। একদিকে যেমন লড়াইয়ে রয়েছে শিরোমণি অকালি দল এবং বিএসপির জোট। তেমনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের পাঞ্জাব লোক কংগ্রেস এবং বিজেপির জোটও লড়াইয়ে রয়েছে। তবে, মূল লড়াই আম আদমি পার্টি এবং কংগ্রেসের মধ্যেই৷ আর ভোটযুদ্ধে নামার আগে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে ধোঁয়াশা জিইয়েই রাখল হাত শিবির। মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধু দু’জনকেই প্রার্থী করছে তারা।
প্রসঙ্গত, শনিবার পাঞ্জাব নির্বাচনের জন্য প্রথম দফায় ৮৬ জনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। তাতে রয়েছে একাধিক চমক। সিধুকে তাঁর আগের আসন অমৃতসর পূর্ব থেকেই প্রার্থী করেছে হাত শিবির। জল্পনা শোনা যাচ্ছিল মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নিকে দুটি আসন থেকে প্রার্থী করতে পারে কংগ্রেস। তবে, আপাতত নিজের বিধানসভা ক্ষেত্র চামকৌর সাহিব আসন থেকেই প্রার্থী করা হয়েছে। উপমুখ্যমন্ত্রী প্রতাপ সিং বাজওয়া কাদিয়ান আসন থেকে প্রার্থী হচ্ছেন। পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা মানসা আসন থেকে প্রার্থী হচ্ছেন। এদিকে অভিনেতা সোনু সুদের বোন মালবিকা সুদকে মোগা আসন থেকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি সুনীল জাখর প্রার্থী না হলেও তাঁর ভাইপো সন্দীপ জাখরকে প্রার্থী করেছে হাত শিবির।
প্রথম দফার প্রার্থী তালিকায় পাঞ্জাবের কমবেশি সব গোষ্ঠীকেই খুশি করার চেষ্টা করেছে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরও কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না। সিধু নাকি চান্নি কে হবেন কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সিধু যে নিজে মুখ্যমন্ত্রী হতে চান, সেটা আর কারও অজানা নয়। কিন্তু শেষ মাস তিনেক মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে চান্নিও বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। তাছাড়া চান্নি দলিত মুখ। পাঞ্জাবের মোট ভোটের প্রায় ৪০ শতাংশই দলিত। আবার পাঞ্জাব রাজনীতি এতদিন নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন উচ্চবর্ণের জাঠ শিখরাই। সিধু আবার সেই জাঠ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। স্বাভাবিকভাবেই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে এখন দ্বিধাবিভক্ত কংগ্রেস।