উত্তর প্রদেশে ধারাবাহিক দলত্যাগের ঘটনায় বিজেপিতে পিছিয়ে থাকা শ্রেণির ভোটব্যাঙ্কে যে ভাল ভাঙন ধরেছে, তা বুঝেই আজ সমাজবাদী পার্টির মুখ্যমন্ত্রী মুখ অখিলেশ যাদব দাবি করেন, আসন্ন ভোটে তিন-চতুর্থাংশ আসন নয়, মাত্র তিন-চারটি আসন পাবে বিজেপি।
অতীতে কংগ্রেস-বিএসপি-র মতো দলের সঙ্গে জোট করে লাভের পরিবর্তে লোকসানের মুখ দেখেছে এসপি। তাই এ বার তথাকথিত অন্য বড় দলের সঙ্গে সমঝোতায় যাওয়া গোড়া থেকেই এড়িয়ে গিয়েছেন অখিলেশ। উল্টে তিনি জোট করেছেন ছোট দলগুলির সঙ্গে। যারা উত্তরপ্রদেশের দলিত ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব করে।
এসপি নেতৃত্বের ব্যাখ্যা, যাদব ও মুসলমান ভোট গোড়া থেকেই দলের সঙ্গে রয়েছে। দলের তাই লক্ষ্য ছিল, যাদব নয়, এমন পিছিয়ে পড়া শ্রেণিকে এক জোট করে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটে লড়া। পাশাপাশি বিজেপিতে থাকা অসন্তুষ্ট পিছিয়ে থাকা শ্রেণির নেতাদের ভাঙিয়ে আনার কৌশল নিয়েছিলেন অখিলেশ। সেই লক্ষ্যে অনেকটাই সফল হয়েছে তাঁর দল।
এসপি-তে আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগী মন্ত্রিসভার দুই মন্ত্রী স্বামী প্রসাদ মৌর্য ও ধরম সিংহ সাইনি যোগ দেন। আর এক মন্ত্রী দারা সিংহ চৌহান মকর সংক্রান্তির পরে সম্ভবত রবিবার এসপি-তে যোগ দেবেন। মন্ত্রীদের পাশাপাশি আজ অখিলেশের দলে যোগ দিয়েছেন বিজেপির পাঁচ বিধায়কও। দল ছেড়ে এসপি-তে যোগ দিয়েছেন আপনা দল (সোনেলাল)-এর বিধায়ক অমর সিংহ চৌধরিও। এসপি সূত্রের বক্তব্য, পিছিয়ে পড়া শ্রেণির এই নেতাদের যোগদানের ফলে যাদব নয়, এমন ভোটও অখিলেশের দলের ঝুলিতে আসা অনেকটাই নিশ্চিত হয়েছে। যার ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে পূর্বাঞ্চলের অন্তত একশোটি আসনে।