বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। যার জেরে কলকাতায় কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়ে হল ৪৪। বিশেষত, অভিজাত এলাকা এবং বহুতল আবাসনগুলিতে করোনা সংক্রমণ রীতিমতো উদ্বেগের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। সেই সঙ্গে করোনা রোগীদের যাতে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে কন্ট্রোলরুম খুলছে পুরসভা। চালু করা হচ্ছে টেলিকলিং পরিষেবা। প্রসঙ্গত, এতদিন শহর কলকাতার মোট ২৯টি এলাকা মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে চিহ্নিত ছিল। ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, অভিজাত এলাকাগুলিতে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সেই কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যাটা বাড়াতে হচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে বহুতল এবং সম্পন্ন পরিবারের সদস্যরা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। পুরসভা সূত্রের খবর, ১২ নম্বর বরোতেই মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ১২। ১০ নম্বর বরোতেও ১০টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করতে হয়েছে। শুধু লেক থানা এলাকাতেই ৭টা কন্টেনমেন্ট জোন করা হয়েছে।
পাশাপাশি, কলকাতা করোনা রোগী বাড়তে থাকায় অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসা পেতে সমস্যা হচ্ছে নাগরিকদের। বেশ কিছু অভিযোগ উঠছে। এই সমস্যা মেটাতে কন্ট্রোল রুম খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। করোনা আক্রান্তদের জন্য নতুন হেল্পলাইন নম্বর শুরু করছে পুরসভা। ০৩৩ ২২৮৬১২৩৮ (033 22861238) নম্বরে ফোন করে করোনা রোগীরা নিজেদের যাবতীয় সমস্যার কথা জানাতে পারবেন। ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, চিকিৎসা সংক্রান্ত যে কোনও রকমের সাহায্য পাওয়া যাবে এই নম্বরে ফোন করলে। এসএমএসের মাধ্যমেও সমস্ত তথ্য তুলে ধরা হবে। মোট ১০০ জন কর্মী তিন শিফটে কাজ করবেন কন্ট্রোল রুমে। হাসপাতালে ভর্তি থেকে অ্যাম্বুল্যান্স, অক্সিজেন সরবরাহ ইত্যাদি সমস্ত পরিষেবা মিলবে এই কন্ট্রোল রুম থেকেই। সরাসরি কথা বলা যাবে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গেও। পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডক্টর সুব্রত রায়চৌধুরীর নম্বর যুক্ত থাকবে এই কন্ট্রোল রুমে। সেখানে থাকবে ডেপুটি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের নম্বরও।