আতঙ্কের নয়া নাম ওমিক্রন। ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কাকে সত্যি করে দিয়েছে করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট। দেশের পাশাপাশি রাজ্যের পরিস্থিতিও ক্রমশই খারাপ হচ্ছে। এই অবস্থায় পুরভোট পিছিয়ে দেওয়ার মামলায় শুক্রবার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তাতে বলা হয়েছে, কমিশন বিবেচনা করে দেখুক, এই পরিস্থিতিতে চার কর্পোরেশনের ভোট চার থেকে ছয় সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া যায় কি না। এ ব্যাপারে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তারপরই আলোচনা শুরু করল কমিশন। হাইকোর্টের রায়ের পরেই আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছেন কমিশন কর্তারা। একটি সূত্রের দাবি, ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট করার ব্যাপারে একটা প্রস্তাব রয়েছে।
এদিন বেলা আড়াইটে থেকে নিজেদের দফতরে আইনজীবী প্যানেলের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, শনিবার দুপুরের মধ্যেই আদালতকে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিতে চাইছে ভোট পিছিয়ে দেওয়া সম্ভব কি না। যদি পিছিয়ে দেওয়া হয় তাহলে কোন তারিখে হবে বিধাননগর, চন্দননগর, শিলিগুড়ি ও আসানসোলের ভোট। ইতিমধ্যেই কমিশন আদালতে জানিয়ে রেখেছে, বাকি ১০৮টি পুরসভার ভোট হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি। যদি এই চার কর্পোরেশনের ভোট পিছিয়ে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নিয়ে যাওয়া হয় তাহলে জানুয়ারির শেষে বা ফেব্রুয়ারির গোড়াতেই আবার শতাধিক পুরসভার ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে কমিশনকে। আবার এই ভোট পিছিয়ে গেলে ওই ১০৮টি পুরভোট পিছিয়ে যাবে কি না তাও দেখার।