বৃহস্পতিবার বিকেলেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল গুয়াহাটিগামী বিকানের এক্সপ্রেস। উত্তরবঙ্গের মযনাগুড়িতে হওয়া এই দুর্ঘটনায় ন’জন মারা গিয়েছেন। তবে এই প্রথম নয়। পশ্চিমবঙ্গে বারবার রেল দুর্ঘটনার বিভীষিকা ফিরে এসেছে। জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস হোক কি জম্মু-তাওয়াই, রেল দুর্ঘটনার বলি হয়ে বিভিন্ন সমযে মারা গিয়েছেন বহু যাত্রী।
১৯৯৫ সালের ১ জুন হাওড়া থেকে ছেড়ে যাওয়া জম্মুগামী থেকে জম্মু-তাওয়াই এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। কয়লাবোঝাই মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারান ৪৫ জন। আহত ৩৩৫। এই দুর্ঘটনার প্রায় চার বছর পর ১৯৯৯ সালে ২ অগস্ট গভীর রাতে ভুল সিগনালের জেরে একই লাইনে মুখোমুখি হয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অবধ-অসম এক্সপ্রেস এবং ব্রহ্মপুত্র মেল।
উত্তর দিনাজপুরের গাইসাল স্টেশনে দু’টি ট্রেনেপ মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছিল ২৮৫ জনের। আহত হয়েছিলেন তিনশোরও বেশি। সেই দুর্ঘটনাটি ভারতীয় রেলের ইতিহাসে সবথেকে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। ১৯৯৫ সালের ১ জুন হাওড়া থেকে ছেড়ে যাওয়া জম্মুগামী থেকে জম্মু-তাওয়াই এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। কয়লাবোঝাই মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারান ৪৫ জন। আহত ৩৩৫।
এই দুর্ঘটনার প্রায় চার বছর পর ১৯৯৯ সালে ২ অগস্ট গভীর রাতে ভুল সিগনালের জেরে একই লাইনে মুখোমুখি হয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অবধ-অসম এক্সপ্রেস এবং ব্রহ্মপুত্র মেল। উত্তর দিনাজপুরের গাইসাল স্টেশনে দু’টি ট্রেনেপ মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছিল ২৮৫ জনের। আহত হয়েছিলেন তিনশোরও বেশি। সেই দুর্ঘটনাটি ভারতীয় রেলের ইতিহাসে সবথেকে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
এরপর প্রায় আটবছর নির্বিঘ্নেই রেল চলে বঙ্গে। পরে ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে ফের একটি রেল দুর্ঘটনা দেখে বাংলা। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হয় ব্রহ্মপুত্র মেলের ১৪ বগি। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১ জনের, আহত হয় ৩২।
এর আগে অবশ্য ২০১০ সালেরই ২৮ মে ঘটেছিল জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসের সেই ঘটনা। পশ্চিম মেদিনীপুরে সরডিহা ও খেমাশুলি স্টেশনের মাঝে লাইনচ্যুত হয়েছিল জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস। সেই লাইন ধরে ছুটে আসা একটি মালহাড়ি লাইনচ্যুত কামরাগুলিকে ধাক্কা মারে। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন ১৪১ জন। বহু যাত্রী নিখোঁজ হয়ে যান।
আর ২০২২ সালের ১৩ জানুয়ারি ময়ানাগুড়িতে লাইনচ্যুত হয় বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। ঘটনায় এখনও ৯ জন মৃত, ৩৬ জন গুরুতর ভাব আহত। আর ২০২২ সালের ১৩ জানুয়ারি ময়ানাগুড়িতে লাইনচ্যুত হয় বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। ঘটনায় এখনও ৯ জন মৃত, ৩৬ জন গুরুতর ভাব আহত।
দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১ জনের, আহত হয় ৩২।
এরপর ২০১০ সালের ১৯ জুলাই গভীর বীরভূমের সাঁইথিয়া স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনকে পিছন থেকে এসে ধাক্কা মেরেছিল অন্য একটি ট্রেন। গভীর রাতে স্টেশনের ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা বনাঞ্চল এক্সপ্রেসকে ধাক্কা মেরেছিল উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস।
এরপর ২০১০ সালের ১৯ জুলাই গভীর বীরভূমের সাঁইথিয়া স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনকে পিছন থেকে এসে ধাক্কা মেরেছিল অন্য একটি ট্রেন। গভীর রাতে স্টেশনের ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা বনাঞ্চল এক্সপ্রেসকে ধাক্কা মেরেছিল উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস।
২০১১ সালের ৩১ জুলাই মালদহে লাইনচ্যুত হয়েছিল গুয়াহাটি-বেঙ্গালুরু কাজিরাঙা এক্সপ্রেস।
দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন ৩ জন, আহত ২০০। ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর আলিপুরদুয়ারের শামুকতলা রোড স্টেশনে লাইনচ্যুত রাজেন্দ্রনগর-গুয়াহাটি ক্যাপিটাল এক্সপ্রেস। ২০১১ সালের ৩১ জুলাই মালদহে লাইনচ্যুত হয়েছিল গুয়াহাটি-বেঙ্গালুরু কাজিরাঙা এক্সপ্রেস। দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন ৩ জন, আহত ২০০।
এর আগে অবশ্য ২০১০ সালেরই ২৮ মে ঘটেছিল জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসের সেই ঘটনা। পশ্চিম মেদিনীপুরে সরডিহা ও খেমাশুলি স্টেশনের মাঝে লাইনচ্যুত হয়েছিল জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস। সেই লাইন ধরে ছুটে আসা একটি মালহাড়ি লাইনচ্যুত কামরাগুলিকে ধাক্কা মারে। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন ১৪১ জন।