কুড়ি সালেই মেয়াদ শেষ হয়েছিল ইসরো চেয়ারম্যান কে শিবনের। আগামীকাল শুক্রবার শেষ হচ্ছে তাঁর বর্ধিত কালের মেয়াদও। সেই জায়গায় নতুন চেয়ারম্যান পাচ্ছে ইসরো। শিবনের পরে ইসরোর নতুন প্রধান হচ্ছেন রকেট সায়েন্টিস্ট গবেষক এস সোমনাথ।
ইসরোর চেয়ারম্যান, স্পেস কমিশনের চেয়ারম্যান এবং স্পেস সেক্রেটারি পদের দায়িত্ব সামলাবেন সোমনাথ। আগামী তিন বছর এই পদে থাকবেন তিনি। মহাকাশ অভিযানে নতুন প্রযুক্তি আনার পরামর্শ দিয়েছেন সোমনাথ। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে এবার থেকে যৌথ উদ্যোগে কাজ করবে ইসরো। গগনযানের দায়িত্বেও থাকবেন তিনি।
আগামী দিনে গগনযানের পরিকল্পনা করছে ইসরো। এই দায়িত্ব এখন থেকে গবেষক সোমনাথের। কোভিড মহামারী ও লকডাউনের কারণে গগনযান মিশন পিছিয়ে গেছে। ইসরোর স্পেস স্টেশন তৈরির পরিকল্পনাও থমকে গেছে। কিন্তু এই মিশন পুরো হবে বলেই জানিয়েছিলেন ইসরো প্রধান কে শিবন। পৃথিবী থেকে যে নভশ্চররা মহাকাশে যাবেন তাঁরা এই স্পেস স্টেশনেই বিশ্রাম নেবেন।
সেখান থেকেই রকেটে চেপে পাড়ি দেবেন চাঁদে বা অন্য গ্রহে। একদিকে যেমন জ্বালানীর সাশ্রয় হবে, তেমনি পৃথিবী থেকে এত বেশি রসদ বয়ে নিয়ে যেতে হবে না। স্পেশ স্টেশনে সব ব্যবস্থাই পাকা থাকবে। এই বছরেই গগনযানের ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনের কোয়ালিফিকেশন টেস্ট হবে, তার তোড়জোড় চলছে।
দেশের শীর্ষস্থানীয় রকেট সায়েন্টিস্টদের মধ্যে একজন অধ্যাপক-গবেষক এস সোমনাথ। ২০১৮ সাল থেকে বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন তিনি। গত চার বছরে তাঁর সাফল্য দেখেই ইসরোর চেয়ারম্যানের পদে তাঁকে বেছে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার।
জিএসএলভি রকেট লঞ্চারের প্রযুক্তিতে গবেষক সোমনাথের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা আছে। কর্মজীবনের প্রথম অধ্যায়ের পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল তথা পিএসএলভি রকেট তৈরিতেও নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।
হাই থ্রাস্ট সেমি-ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনের প্রযুক্তির উন্নয়নেও তাঁর অবদান আছে। লঞ্চ ভেহিকেল ডিজাইন, সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং, স্ট্রাকচালার ডিজাইন, স্ট্রাকচারাল ডাইনামিকস, পাইরথেনিকস, মেকানিজম ডিজাইনিংয়ের মতো বেশ কিছু বিষয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা বিশাল।