করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, মণিপুর এবং গোয়ার নির্বাচনী নির্ঘন্ট ঘোষণা করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে ভোটের দামামা যখন বেজে গিয়েছে, তখন টালমাটাল অবস্থা উত্তরপ্রদেশ বিজেপির। টিকিট বিতরণ শুরুর আগেই তীব্র হয়েছে দল ছেড়ে অন্য দলে যোগ দেওয়ার প্রক্রিয়া। মঙ্গলবারই যোগী সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রী স্বামী প্রসাদ মৌর্য পদত্যাগ করেন। অখিলেশ যাদবের দল সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিয়ে স্বামীপ্রসাদ বলেছিলেন, দেখতে থাকুন, বিজেপিতে ভূমিকম্প হতে চলেছে। চব্বিশ ঘণ্টাও কাটল না। এ যেন সত্যিই ভূমিকম্প! কানপুরের বিলহাউরের বিজেপি বিধায়ক ভগবতী প্রসাদ সাগর, শাহজাহানপুরের তিলহারের বিধায়ক রোশন লাল ভার্মা এবং বান্দার তিন্দওয়ারির বিধায়ক ব্রজেশ প্রজাপতির পদত্যাগের পর এবার যোগী মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিলেন আরও এক মন্ত্রী।
বুধবার যোগী মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিলেন দারা সিং চৌহান। যোগী সরকারে চৌহান ছিলেন পরিবেশ মন্ত্রী। তাৎপর্যপূর্ণ হল, স্বামী প্রসাদ মৌর্যর মতই দারা সিং চৌহান হলেন ওবিসি নেতা। উত্তরপ্রদেশে গদি দখল করতে এক সময়ে এই ওবিসি নেতারাই অনুঘটকের কাজ করেছিল। এ বার যেন পালা করে তাঁরাই বিজেপি ছাড়ার পণ করেছেন। পর্যবেক্ষকদের অনেকেরই ধারণা স্বামী প্রসাদের মতোই দারা সিংও অচিরে সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিতে চলেছেন। এই নিয়ে চব্বিশ ঘণ্টায় উত্তরপ্রদেশে বিজেপি ছাড়লেন ৬ বিধায়ক ও দুই মন্ত্রী। উল্লেখ্য, কেন্দ্রে বাজপেয়ী জমানায় উত্তরপ্রদেশে বিজেপির শেষ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন রাজনাথ সিং। তার পর থেকে দীর্ঘ প্রায় পনেরো বছর উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতার স্বাদ পায়নি গেরুয়া শিবির। কিন্তু ২০১৭ সালে বিবিধ জাতি সমীকরণের উপর ভিত্তি করে হিন্দিবলয়ের অন্যতম বড় এই রাজ্যে ক্ষমতা দখল করেছিল বিজেপি।
