উত্তরপ্রদেশে অন্তত ২০জন মুসলিমকে প্রার্থী করার দাবি তুললেন ওই রাজ্যে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি জামাল সিদ্দিকি। মঙ্গলবার দিল্লিতে বিজেপির নির্বাচনী কমিটির বৈঠকে এই দাবি পেশ করেন তিনি।
২০১৭-র বিধানসভা ভোটে বিজেপির তালিকায় একজনও মুসলিম প্রার্থী ছিলেন না। বিজেপি একাই ৩২৫ আসনে জয়ী হয়। ৪০৩ আসনের বিধানসভার বাকি প্রার্থীদের মধ্যে ২৫জন মুসলিম প্রার্থী বিভিন্ন দল থেকে জেতেন। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় অতীতে কখনও এত কম সংখ্যক মুসলিম বিধায়ক ছিলেন না।
এবারও বিজেপির তালিকায় মুসলিম প্রার্থী থাকবে না, এমনটাই পরিস্থিতির বিচারে অনেকেই মনে করছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলতে গেলে মুসলিমদের বিরুদ্ধ জেহাদ ঘোষণা করেছেন। দু’দিন আগেই বলেছেন, এবারের ভোটে লড়াই আশি শতাংশ বনাম কুড়ি শতাংশ। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশে হিন্দু জনসংখ্যা আশি শতাংশের সামান্য কম। অন্যদিকে, মুসলিমরা জনসংখ্যার প্রায় কুড়ি শতাংশ। যোগী আসলে কুড়ি শতাংশের বিরুদ্ধে লড়াই বলতে মুসলিমদেরই বোঝাতে চেয়েছেন বলে বিরোধীদের অভিযোগ।
শুধু ভোটের মুখেই নয়, যোগী সরকারের একাধিক পদক্ষেপে মুসলিমরা পদে পদে বিপাকে পড়েছে। তা গো-মাংস বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা, লাভ জেহাদ আটকানোর নামে মুসলিম তরুণদের টার্গেট করা হয়েছে। আর বিরোধীদের বিরুদ্ধে মুসলিম তোষণের কথা তাঁর মুখে সর্বদা লেগে আছে।
এই পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতির ২০টি আসনে মুসলিম প্রার্থীর দাবি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। উত্তরপ্রদেশে মোট আসন ৪০৩। অর্থাৎ মোট আসনের চার শতাংশ দাবি করেছেন মুসলিমদের জন্য।