গঙ্গাসাগর মেলার নজরদারি কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। মঙ্গলবার পুরনো তিন সদস্যের কমিটি বাতিল করে ২ সদস্যের কমিটি গঠন করে হাই কোর্ট। কমিটির নেতৃত্বে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। কমিটিতে রয়েছেন লিগ্যাল সার্ভিসেসেস সদস্য সচিব। বাদ দেওয়া হয়েছে শুভেন্দুকে। এই ঘটনায় নিজেদের ‘জয়’ দেখছে রাজ্য সরকার।
প্রসঙ্গত, গঙ্গাসাগর মেলার নজরদারি কমিটিতে শুভেন্দু অধিকারীর নাম থাকা নিয়ে প্রথম থেকেই একটা চাপানউতোর তৈরি হয়েছিল। মামলাকারীরা অনেকেই বলেছিলেন যে, শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা। সেক্ষেত্রে এই মেলা ঘিরে টানাপোড়েনে লাগতে পারে রাজনৈতিক রঙও। আদালত এমন কয়েকজনকে নিয়ে কমিটি গঠন করুক, যাতে তাঁরা সম্পূর্ণ রূপে রাজনীতি থেকে দূরে থাকেন। চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি গড়ার কথাও বলা হয়েছিল।
অর্থাৎ ‘রাজনৈতিক ব্যক্তিমুক্ত’ কমিটি গঠনের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবীদের একাংশ। পাশাপাশি আরও একটি বিষয় উল্লেখ্য, পুরনো কমিটিতে রাখা হয়েছিল রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানকে। ওই পদে নিয়োগ এখনও আটকে রয়েছে। এরপরই নতুন কমিটির পক্ষে রায় দেয় হাইকোর্ট। মঙ্গলবারের নির্দেশে কমিটি সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলা হয়েছে। যে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে, সেখানে শুধুমাত্র অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় ও লিগ্যাল সার্ভিসের সচিবকে রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এ বছর গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধ রাখা উচিত। এই আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন চিকিৎসক অভিনন্দন মণ্ডল। এর সঙ্গে আরও পাঁচটি মামলা হয়। সব মামলাগুলি একত্র করে হাই কোর্টে শুনানি হয়েছিল। শুনানির পর তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। সেখানে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রশ্ন ওঠে, ওই কমিটিতে যে সব সদস্য রয়েছেন, তাঁরা কোভিড নিয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। রাজ্যের আর্জি ছিল, নিরপেক্ষ রিপোর্টের স্বার্থে ওই কমিটি থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সরাতে হবে। মঙ্গলবার হাই কোর্টের রায় এক প্রকার সেই দিকেই গেল বলে মনে করা হচ্ছে।