একুশের ভোটে ভরাডুবির পর থেকেই বঙ্গ-বিজেপিতে শুরু হয়েছে গোষ্ঠীকোন্দল। বারবারই সামনে চলে আসছে দলের অন্তর্কলহ। প্রকাশ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপ করছেন দলের নেতারা। নতুন বছরেও এই অবস্থার পরিবর্তনের কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বরং সময় যত গড়াচ্ছে ততই পদ্মবনে বিদ্রোহ বেড়েই চলেছে। দলে দলে যেমন নেতা থেকে বিধায়কেরা দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ যেমন ছেড়ে দিচ্ছেন তেমনি দলের একের পর এক কমিটির সভাপতিদেরও পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছেন অনেকেই। এরই মধ্যে দলের একটা বড় অংশের ক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী। তাঁকে রীতিমত পদ থেকে সরাবার পাশাপাশি দল থেকে বহিষ্কার করার দাবিও উঠে গেল। তাঁর দোষ তিনি দলের এক ভার্চুয়াল বৈঠকে জানিয়েছিলেন, পিকের লোকেরাও তাঁকে বলেছেন বিজেপির সাংগঠনিক পরিকাঠামো খুব শক্তিশালী!
প্রসঙ্গত, গত রবিবার দলীয় বৈঠকে অমিতাভবাবু তাঁর এই অভিমত জানাতেই বঙ্গ বিজেপির একাংশ সরাসরি তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন পিকের লোকেদের সঙ্গে তাঁর এই যোগসাজশের কারনেই এবার একুশের বিধানসভা নির্বাচনে দলে হার হয়েছে। বঙ্গ বিজেপির যে সব নেতা থেকে বিধায়কেরা এখন বেশ বিদ্রোহী মনোভাব নিয়ে চলেছেন তাঁরাও এখন রীতিমত দাবি তুলেছেন অমিতাভবাবুকে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পদ থেকে সরাতে হবে। কেউ কেউ তো আরও এগিয়ে তাঁকে দল থেকেই বহিষ্কার করার দাবি তুলেছেন। জল এখানেই থেমে নেই, সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই নিয়ে রীতিমত ক্ষোভ ওগরানোর পালা শুরু হয়ে গিয়েছে। কয়েকজন আবার অমিতাভবাবুকে পদ থেকে সরানোর জন্য রীতিমত দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে দরবার করতেও শুরু করে দিয়েছেন। সব মিলিয়ে বঙ্গ বিজেপি এখন বিদ্রোহের মঞ্চ হয়ে উঠেছে।