মান্যতা দেয়নি কোউইন। তাই এবার প্রিকশন ডোজ নিতে এসেও ফিরে যেতে হল কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষকে। মঙ্গলবার নিজের ওয়ার্ডের আরবান প্রাইমারি হেলথ সেন্টার থেকে ফিরে যান তিনি। জানা গিয়েছে, কোউইনে তাঁকে এখনই বুস্টার ডোজ নেওয়ার যোগ্য হিসাবে মান্যতা দেওয়া হয়নি। সেকারণেই ডোজটি নিতে পারলেন না তিনি। প্রসঙ্গত, সোমবার থেকে দেশজুড়ে করোনা টিকার প্রিকশন ডোজ বা বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। কলকাতা পুরসভার আরবান প্রাইমারি হেলথ সেন্টারে তদারকি করতে এসে অতীন জানতে পেরেছিলেন, তিনিও এই ডোজ নেওয়ার জন্য ‘এলিজিবল’। সেইমতো মঙ্গলবার তিনি ডোজ নিতে যান। কিন্তু তখন কোউইন অ্যাপে তাঁর মোবাইল নম্বর এবং আধার কার্ড নম্বর দিতেই স্বাস্থ্যকর্মীরা দেখেন তিনি ‘নট এলিজিবল’।
এরপরে স্বাভাবিকভাবেই বিভ্রান্তি তৈরি হয়। দেখা যায়, অতীন ঘোষ গত ১৬ এপ্রিল কোভিড টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। তাই এ বছর ১৬ জানুয়ারি তিনি বুস্টার ডোজ নেওয়ার যোগ্য হবেন। এরপরই ডেপুটি মেয়র ঠিক করেন, ১৭ জানুয়ারি তিনি বুস্টার ডোজ নেবেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনেক সময় ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যাপারে বিরোধীরা প্রভাব খাটানোর অভিযোগ করে। সেটা যে কতটা ভুল তা মঙ্গলবার পুরপ্রশাসনের এই নজরদারিতে প্রমাণিত হয়ে গেল। কোউইন অ্যাপ অত্যন্ত শক্তিশালী এবং প্রযুক্তিগতভাবে যথেষ্ট কার্যকর। কেউ এই অ্যাপে প্রভাব খাটাতে পারবে? যে কেউ আসলেন আর জোর করে বললেন বুস্টার দিতে হবে, তা যে সম্ভব নয়, সেই বিষয়টি আজ আমার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়ে গেল। এলিজিবল ছাড়া বুস্টার দেওয়া সম্ভব নয়।’
একইসঙ্গে কলকাতার ডেপুটি মেয়র আরও বলেন, ‘কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডে বুস্টার ডোজ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কারণ আমাদের পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মী এবং আধিকারিক মিলিয়ে মোট ২৫০ জন করোনায় আক্রান্ত। তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে একটু সময় লাগবে। তখনই সবকটি ওয়ার্ডে বুস্টার ডোজ দেওয়া স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’ উল্লেখ্য, বুস্টার ডোজ সম্পর্কে মানুষ এখনও ততটা ওয়াকিবহাল নন। কারা, কীভাবে এই প্রিকশন ডোজ নেবেন তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বহু মানুষের মনে। তাই কলকাতা পুরসভার আরবান প্রাইমারি হেলথ সেন্টারগুলিতে ভিড় কিছুটা হালকা। সোমবার প্রথমদিন কলকাতায় ৩৯৭১ জন বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনে সেই সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই মনে করেন কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য পরিষেবা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতীন।