আতঙ্কের নয়া নাম ওমিক্রন। দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কাকে সত্যি করে দিয়েছে করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট। রোজই বেলাগাম গতিতে বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে দিল্লীতে সামগ্রিক লকডাউনের পথে না গিয়েও ক্রমশ কড়াকড়ির পথে হাঁটছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার। হোটেল, রেস্তরাঁ, পানশালায় বসে পানভোজন বন্ধ করার পর এবার রাজধানীতে বন্ধ হতে চলেছে সমস্ত বেসরকারি কার্যালয়। কর্মীরা বাড়িতে বসেই সারবেন অফিসের কাজ। সেই মর্মেই জারি হয়েছে নয়া নির্দেশিকা। জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাকে অবশ্য ছাড় দিয়েছে ‘দিল্লি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (ডিডিএমএ)’।
প্রসঙ্গত, ওমিক্রন-সংক্রমণ মোকাবিলায় সোমবারই বন্ধ হয়েছিল দিল্লীর রেস্তরাঁ, হোটেলে বসে খাওয়াদাওয়া। বলা হয়েছিল, খাবার কিনে তা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে খেতে হবে। চালু থাকবে বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা। এতদিন ৫০ শতাংশ উপস্থিতি নিয়ে চালু ছিল সরকারি ও বেসরকারি অফিস। এ বার সেই নিয়মে বদল আনল ডিডিএমএ। নয়া নির্দেশিকায় সমস্ত বেসরকারি অফিস বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। ওই সমস্ত অফিসের ১০০ শতাংশ কর্মী বাড়ি থেকে কাজ করবেন। প্রত্যাশিত ভাবেই জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলিকে এই নিয়মের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।