দেশের নানান দূরপাল্লার মেল, এক্সপ্রেসে রান্না করা খাবার সরবরাহের সিদ্ধান্ত ফের গত নভেম্বর মাসেই নিয়েছে রেল বোর্ড। রাজধানী, শতাব্দী, দুরন্তের মতো প্রিমিয়াম ট্রেনের ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ। এমনকী রেলের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষাতেও উঠে এসেছে, দূরপাল্লার যাত্রীদের ৪০ থেকে ৭০ শতাংশই রেডি-টু-ইট মিলের পরিবর্তে রান্না করা খাবারই বেশি পছন্দ করছেন। কিন্তু এরপরেও দূরপাল্লার ট্রেন যাত্রীদের একটি বড় অংশের অভিযোগ, রেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নিলেও এখনও পর্যন্ত সব ট্রেনে রান্না করা খাবার মিলছে না। এনিয়ে অভিযোগও জানাচ্ছেন যাত্রীরা। এই ব্যাপারে রেলমন্ত্রকের অধীন আইআরসিটিসি জানিয়েছে, ট্রেনে খাবার সরবরাহের দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলির সঙ্গে চুক্তির প্রক্রিয়া যেমনভাবে সম্পন্ন হচ্ছে, সেইমতো সংশ্লিষ্ট ট্রেনগুলিতেও আগের মতো কুকড ফুড সরবরাহ চালু করা হচ্ছে।
এপ্রসঙ্গে বুধবার ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশনের (আইআরসিটিসি) জনসংযোগ আধিকারিক আনন্দকুমার ঝা জানিয়েছেন, এদিন থেকেই হাওড়া-মুম্বই দুরন্ত এক্সপ্রেসে রান্না করা খাবার সরবরাহ চালু করা হয়েছে। পাশাপাশি আনন্দবিহার রকসউল এক্সপ্রেস, অমৃতসর সহর্ষা গরিব রথ এক্সপ্রেস, মুম্বই নিজামুদ্দিন রাজধানী এক্সপ্রেস এবং আমেদাবাদ নিউদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসেও বুধবার থেকেই কুকড ফুড পরিষেবা শুরু করা হয়েছে। একইসঙ্গে ট্রেন যাত্রীদের একটি বড় অংশ প্রশ্ন তুলছে, সার্বিকভাবে সমস্ত ট্রেনে এই পরিষেবা চালু করতে আর কত সময় লাগবে রেলের? রেলমন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে, সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলেও দূরপাল্লার ট্রেনে কুকড ফুড সরবরাহের সিদ্ধান্ত থেকে ফের পিছু হঠার সম্ভাবনা নেই আপাতত। আর তাতেই ক্ষোভ বেড়েছে যাত্রীদের।