বুধবার কৃষকদের বিক্ষোভের জেরে পাঞ্জাবের ফ্লাইওভারে আটকে পড়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কনভয়। এ নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। একাধিক মামলাও করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। তবে এবার পাঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যাহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে যাবতীয় তদন্তে সোমবার পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিল শীর্ষ আদালত।
প্রধান বিচারপতি এনভি রমানা কেন্দ্র ও পাঞ্জাব সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সফর সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে জমা করতে। এই কাজে জাতীয় তদন্ত সংস্থা বা এনআইএ-র একজন পদস্থ অফিসারকে হাইকোর্ট রেজিস্ট্রারের সঙ্গে সহযোগিতা করতে বলেছে সর্বোচ্চ আদালত।
প্রসঙ্গত, বুধবার পাঞ্জাবের ভাতিণ্ডা জেলা থেকে সড়ক পথে ফিরোজপুরে বিজেপির সভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। পথে একটি উড়ালপুলের ওপর তাঁর কনভয় থমকে যায় সামনে কৃষকদের অবরোধ থাকায়। মিনিট কুড়ি অপেক্ষা করার পর প্রধানমন্ত্রীকে ফিরে যেতে হয়। এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে।
কেন কৃষকদের অবরোধ তোলা হয়নি, কেন প্রধানমন্ত্রীর কনভয়কে আগাম জানানো হয়নি অবরোধের কথা, এ সব প্রশ্ন তুলে পাঞ্জাব পুলিশ ও রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে দিল্লী। অমিত শাহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ঘটনার তদন্তে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। অন্যদিকে, এসপিজি আলাদা করে তদন্ত চালাচ্ছে। পৃথক তদন্ত চালাচ্ছে পাঞ্জাব পুলিশ এবং রাজ্য সরকারও।
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গাফিলতির ঘটনায় পাঞ্জাবের মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজির অপসারণ চেয়ে বৃহস্পতিবারই সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। সেই মামলায় আজ প্রধান বিচারপতির রামানা প্রধানমন্ত্রীর সফর সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্টে জমা করার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি সব তদন্তেই সোমবার পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিয়েছে।
মনে করা হচ্ছে, তদন্ত ঘিরে দোষারোপ বা কাউকে আড়াল করার চেষ্টা আটকাতেই প্রধান বিচারপতি গোড়াতেই সব নথিপত্র আদালতের কাছে জমা করার পরামর্শ দিয়েছেন। সোমবার তদন্ত কমিটি গঠন করে দিতে পারে আদালতই।