একুশের ভোটযুদ্ধে বিজেপিকে রুখে দিয়ে বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। আর তারপরেই আগামী লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে শুরু হয়েছে অন্যান্য রাজ্যে সংগঠন বিস্তার করে দলকে সর্বভারতীয় স্তরে মেলে ধরার চেষ্টা। আর সেই লক্ষ্যেই ত্রিপুরায় কোমড় বেঁধে নেমেছে ঘাসফুল শিবির। এবার বিপ্লব গড়ের স্থানীয় পরিকাঠামোগত সমস্যা নিয়ে পথে নামছে তারা। রাস্তা, পানীয় জল, বিদ্যুতের মতো ইস্যুকে সামনে রেখেই তারা পৌঁছনোর চেষ্টা করছে।
প্রসঙ্গত, পানীয় জলের দাবিতে কৈলাসহরের কালীশাসন এলাকায় রাস্তা অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা। কৈলাসহরের চন্ডীপুর ব্লকের অধীনে অবস্থিত রাংরুং গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের তাচাই চা বাগান এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত তাচাই চা বাগানের শ্রমিকদেরই কেবলমাত্র বসবাস রয়েছে। চা শ্রমিকদের প্রায় দেড়শো পরিবার ওই বাগানে থাকেন।
পানীয় জলের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য গ্রামবাসীরা কয়েকবার পঞ্চায়েতকে এবং ডিডব্লিউএস দপ্তরের আধিকারিকদের কাছে মৌখিক ভাবে এবং লিখিত ভাবে জানানোর পরও কেউই কোনও কার্যকরী ভুমিকা নেয়নি বলে অভিযোগ তৃণমূলের। যার ফলে, দীর্ঘদিন ধরেই গ্রামবাসীরা গ্রামের পুকুরের নোংরা জল এবং গভীর নলকূপের জল পান করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।
এই মরশুমে পুকুর এবংগভীর নলকূপের জল শুকিয়ে যাওয়ায় গ্রামবাসীরা বিপদে পড়েছেন। তাই, গ্রামবাসীরা বাধ্য হয়ে কালীশাসন এলাকায় কৈলাসহর-কমলপুর রাস্তাটি অবরোধ করেন। তাছাড়া গ্রামবাসীরা প্রকাশ্যেই জানান যে, গাড়ি দিয়ে শুধু পানীয় জল গ্রামে পাঠালেই চলবে না। একই সঙ্গে গ্রামে পানীয় জলের জন্য বড় পাম্প মেশিন বসাতে হবে তাহলেই গ্রামে পানীয় জলের সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।
এরপরেই সরকারি আধিকারিকরা অবরোধ স্থলে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভকারীদের আশ্বাস দেন, স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত দফতরের পক্ষ থেকে দু’ বেলা গাড়ি করে এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ করা হবে। তাছাড়া শীঘ্রই পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বড় পাম্প মেশিন বসানোর জন্য প্রস্তাব পাঠানো হলে তা সরকারি ভাবে অনুমোদন করা হবে। তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক বলেন, ‘প্রচারে বলা হচ্ছে গ্রামে গ্রামে, বাড়িতে বাড়িতে পানীয় জল পৌছে যাবে। কিন্তু বাস্তব অবস্থা হল কেউই ন্যূনতম সেই সুবিধা পান না।’