রাজ্য কমিটিতে মতুয়া প্রতিনিধি না থাকা নিয়ে দলের অন্দরে চরম গোষ্ঠীকোন্দল তৈরি হয়েছে। আর সেই কোন্দলের জেরে কার্যত আড়াআড়ি ভাবে বিভক্ত হয়ে গিয়েছেন নদিয়ার মতুয়া অধ্যুষিত এলাকার বিধায়ক-সাংসদরা। একাংশ বিধায়করা কেন্দ্রীয় জাহাজ দফতরের প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের ভূমিকার বিরুদ্ধে। আবার আরেক অংশ মঙ্গলবার শান্তনুর ডাকা বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। আর ওই বৈঠকের খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই নাম না করে শান্তনুর বিরুদ্ধে নিজের নিজের মত প্রকাশ করছেন মতুয়া সম্প্রদায়ের বাকি বিধায়কেরা। আবার, শান্তনু ঠাকুরের নাম না করে রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেছেন, ‘এটা নিয়ে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, কল্যাণী ও হরিণঘাটা-সহ নদিয়া জেলার রানাঘাট দক্ষিণ, রানাঘাট উত্তর-পূর্ব, কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা এলাকায় মতুয়া সম্প্রদায়ের বিধায়ক রয়েছেন। এছাড়া রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে রয়েছেন মতুয়া সম্প্রদায়ের সাংসদ জগন্নাথ সরকার। বিজেপির রাজ্য কমিটিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি কেন রাখা হয়নি, তা নিয়ে বিজেপি দলের মধ্যে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। তা নিয়ে দলের মধ্যেই তৈরি হয়েছে দু’টি গোষ্ঠী। বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল এখন এতটাই স্পষ্ট যে তা সামাল দেওয়া যথেষ্টই কঠিন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অবশ্য ‘বিদ্রোহ’ চাপা দিতে রাজ্য কমিটিও কঠোর অবস্থান নিতে চলেছে বলে দলীয় সূত্রে খবর।