রাজ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ ঢুকে পড়েছে। পাশাপাশি ক্রমশই চওড়া হচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট ওমিক্রনের থাবা। এই আবহে রাজ্যের চার পুরনিগমের নির্বাচন করা অতি ঝুঁকিপূর্ণ। তাই পিছিয়ে দেওয়া হোক শিলিগুড়ি, আসানসোল, চন্দননগর এবং বিধাননগর পুরনিগমের ভোট। এবার এমনই আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল একটি জনস্বার্থ মামলা। ইতিমধ্যেই আদালতে গৃহীত হয়েছে সেই মামলা। আগামীকাল, ৬ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।
আগামী ২২ জানুয়ারি অর্থাৎ পূর্বনির্ধারিত দিনেই হবে রাজ্যের চার পুরনিগমের ভোট। গত সোমবার রাজ্যের মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর এমনটাই জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাদের তরফে বলা হয়েছিল, রাজ্যে সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও আপাতত ভোট পিছনোর প্রয়োজনীয়তা নেই। কারণ কলকাতার থেকে ভোট হতে চলা চার পুরনিগমে সংক্রমণের মাত্রা তুলনামূলক কম।
কিন্তু বিমল ভট্টাচার্য নামের ওই ব্যক্তি হাই কোর্টকে জানান, এমন করোনা আবহে নির্বাচন হলে সংক্রমণ বাড়ার সম্ভাবনাও প্রকট হবে। কারণ যেহেতু জনসভায় ৫০০ জনের উপস্থিতির অনুমতি রয়েছে, তাই ভিড় জমাবেন অনেকেই। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে ভেঙে পড়বে চিকিৎসা ব্যবস্থা। তাই বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আরজি জানিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই প্রধান বিচারপতির এজলাসে মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ৬ জানুয়ারি মামলার শুনানির হওয়ার কথা।