মতুয়া বিদ্রোহের আবহে সোমবারের পর মঙ্গলবারও টলোমলো রাজ্য বিজেপি। এদিন সন্ধেয় ঠাকুরনগরে নিজের বাড়িতে নিজের অনুগামী ৫ মতুয়া বিধায়ককে বৈঠকে ডেকেছিলেন স্থানীয় সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। যদিও বৈঠকে প্রথমে হাজিরা দেন ৩জন। তাঁদের মধ্যে একজন শান্তনুর অগ্রজ সুব্রত ঠাকুর। বাকি দু’জন বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া ও হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার। বৈঠকে দেরিতে আসেন রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী। কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায়। আরেক বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষের আসা নিয়ে কানাঘুষো থাকলেও তাঁর দেখা মেলেনি।
মতুয়া বিক্ষোভ ও শান্তনুর ক্ষোভ প্রসঙ্গে মুখ খুলতে চাননি রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বা অন্য কোনও শীর্ষনেতা। এ প্রসঙ্গে সুকান্তবাবুর বক্তব্য, ‘এটা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা মিটিয়ে নেব’। দলীয় সূত্রে খবর, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা ফোন করেন শান্তনু ঠাকুরকে। তারপরও অবশ্য বরফ গলেনি। অন্যদিকে, মঙ্গলবার সন্ধেয় বৈঠকে যোগ দিতে ঠাকুরবাড়িতে এসে অসীম সরকার জানান, আজকের বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না৷ শান্তনু ঠাকুর তাঁকে আসতে বলেছেন বলে তিনি এসেছেন। তাঁর মন্তব্য, ‘রাজ্যের ৮৩টি বিধানসভা আসন মতুয়া অধ্যুষিত। সেখানকার জয়-পরাজয় নির্ধারণ করেন মতুয়ারা। তাহলে মতুয়া অধ্যুষিত বিধানসভাগুলিতে আলোচনা করে পদাধিকারী ঠিক করা উচিত ছিল। সেই আলোচনা হয়নি বলেই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে’।
এর মধ্যে বনগাঁর প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর এদিন সকালে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি মতুয়াদের জন্য কিছুই করেনি। তিনি বলেন, ‘শান্তনু ঠাকুরদের সৎ বুদ্ধির উদয় হোক। কেউ তৃণমূলে আসতে চাইলে একসঙ্গে দল করতে আমার আপত্তি নেই। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’।