সৌরভের পর এবার করোনায় আক্রান্ত সানা গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবারই তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলে খবর। কেবল মেয়েই নয় ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সৌরভের ছোট কাকা দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, খুড়তুতো ভাই শুভ্রদীপ গঙ্গোপাধ্যায় এবং ভ্রাতৃবধূ জুঁই গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁরা সকলেই হোম আইসোলেশনে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রত্যেকেরই শরীরে মৃদু উপসর্গ রয়েছে। ডা. সপ্তর্ষি বসুর তত্ত্বাবধানে তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
উল্লেখ্য কিছুদিন আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বিসিসিআই সভাপতি। তাঁকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সৌরভকে দেওয়া হয় ককটেল অ্যান্টিবডি ইনজেকশন। বর্তমানে তিনি বাড়ি ফিরেছেন এবং সুস্থ রয়েছেন বলেই খবর। গত শুক্রবারই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট।
এদিকে, মঙ্গলবারই চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রাজ্যে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। ফিরে আসছে প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের স্মৃতি। আবারও করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসকেরা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ৯১ জন।
চিত্তরঞ্জন সেবা সদনে আক্রান্ত চিকিৎসকের সংখ্যা ৩৬। আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে ৩৫ জনের বেশি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সূত্রের খবর, শহরের বেসরকারি হাসপাতালের হিসেব মিলিয়ে আরও ২০-২৫ জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, তিনি কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রণ আক্রান্ত হননি। কিন্তু, জানা গিয়েছে, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। আপাতত বেহালায় নিজের বাড়িতেই আইসোলেশনে রয়েছেন সৌরভ। এর মধ্যেই মেয়ে সহ পরিবারের আরও তিন সদস্যের করোনা আক্রান্তের খবরে চিন্তিত গঙ্গোপাধ্যায় পরিবার।
আইপিএল ২০২১ মরশুমের অর্ধেকটাই সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে আয়োজন করা হয়েছিল। তার উপর ভারতে করোনা অতিমারির কারণে ওই দেশেই টি-২০ বিশ্বকাপের আয়োজন করা হয়। ফলে সৌরভকে বিমানে বেশ কয়েকবারই মধ্য়প্রাচ্যের এই দেশে যেতে হয়েছিল।
পাশাপাশি টি-২০ বিশ্বকাপের পর মুম্বইয়েও গিয়েছিলেন সৌরভ। একইসঙ্গে সম্প্রতি লন্ডনে পড়তে গিয়েছিলেন সানা। সেখানে বেশ কিছুদিন ছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গেই গিয়েছিলেন মা ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ও। গত বছরের শুরুতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন সৌরভ। সেই সময় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাঁর হৃদযন্ত্রে পাওয়া গিয়েছিল তিনটে ব্লকেজ।
যার জেরেই ওই মেডিক্যাল কলেজের হস্টেল খালি করার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এনআরএস হাসপাতালে সিনিয়র ও জুনিয়র চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭০। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে আক্রান্ত চিকিৎসকের সংখ্যা ৮০।