প্রধানমন্ত্রীকে ‘বুল্লি বাই’ অ্যাপ নিয়ে কটাক্ষ করলেন জাভেদ আখতার। বর্তমানে ‘বুল্লি বাই’ ইস্যুতে তোলপাড় গোটা দেশ। এই অ্যাপে নাকি প্রচুর মুসলিম মহিলাকে নিলামে তোলা হয়। ব্যবহার করা হয় তাঁদের ছবি। আর এই নিয়েই এবার সরব হয়েছেন কবি গীতিকার জাভেদ আখতার।
শুধু তাই নয় সোশ্যাল মিডিয়ায় হওয়া ট্রোলিংয়ের বিরুদ্ধেও কড়া জবাব দিয়েছেন তিনি। এবং এর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকেও নিশানা করেছেন। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কেন কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছেন না তা নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন জাভেদ আখতার। সঙ্গে গত মাসে হরিদ্বারের ধর্ম সংসদ প্রসঙ্গও টেনে আনেন তিনি। সেই সম্মেলনে মুসলিম বিরোধী মন্তব্য পেশ করেছিলেন সাধু-সন্তরা।
তবে এই নিয়েও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। জনৈক এক ব্যাক্তি জাভেদকে নিশানা করে টুইটে লেখেন, জাভেদ আখতারের প্রপিতামহ ফজলে হক ১৮৫৫ সালে হিন্দুদের হনুমান মন্দির ভেঙে ফেলার নির্দেশ জারি করেছিলেন। আর এই টুইট জ্বলন্ত আগুনের মত চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। এই টুইটের প্রেক্ষিতে শাবানা আজমি জবাব দেন। লেখেন, ‘ফজলে হক একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী, তাঁর কালাপানির সাজা হয়েছিল এবং তিনি আন্দামানেই মৃত্যুবরণ করেন। সেখানে একজন শহীদ হিসাবে তাঁর সমাধিও রয়েছে। শুধু তাই নয় এর পাশাপাশি ওই ব্যাক্তিকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও লেখেন এর থেকেও বেশি তথ্য জানতে হলে ‘বাগি হিন্দুস্থান’ পড়তে পারেন।’
শাবানার পাশাপাশি আওয়াজ তুলেছেন জাভেদ আখতারও। পূর্বপুরুষের নামে এমন অভিযোগ তিনি একেবারে নস্যাৎ করে দিয়ে লিখেছেন ‘আমি যখন এমন এক বিষয়ে গলা চড়ালাম যেখানে মুসলিম মহিলাদের নিলামে তোলা হয় টাকার বিনিময়ে, আর যারা তা করেন ধর্মান্ধ হয়ে তারাই এমন অভিযোগ আসার পরেই আমার পূর্বপুরুষদের সম্পর্কে খারাপ উক্তি ও তথ্য ছড়াচ্ছে। এমন একজনকে নিয়ে বলা হচ্ছে যিনি একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন এবং যিনি কালাপানির সাজা কাটিয়েছিলেন ও সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন। এমন এক মানুষকে নিয়ে যারা ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন তাঁদের কি বলা উচিত?’। ইতিমধ্যেই সরকারের তরফে এই অ্যাপ ব্লক করা হয়েছে। তবুও যেন জল্পনা থামছে না। তা মুহুর্মুহু বাড়ছে। শবানা আজমি ও জাভেদ আখতারের পাশাপাশি এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফারহান আখতার কন্যা জোয়া আখতার ছাড়াও বলিউডের বহু ব্যাক্তিত্বরা।