ত্রিপুরায় নয়া দলীয় কার্যালয় তৈরির সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তৃণমূল। চলতি মাসেই দলীয় কার্যালয় নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবে দল। দলের স্টিয়ারিং কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, একাধিক জায়গায় অফিস দেখা হচ্ছে। শীঘ্রই চূড়ান্ত হয়ে যাবে।
দলীয় সূত্রে খবর, এর আগে বাড়ি পছন্দ হলেও, তৃণমূলকে কোনও ঘর বা বাড়ি দেওয়া যাবে না বলে ভয় দেখানো হয়েছে। একটা সময় দলীয় কার্যালয় থাকলেও তার ব্যবহার খুব একটা লক্ষ্য করা যায়নি। সাম্প্রতিক সময়ে বেড়েছে দলের বহর। সংখ্যায় প্রায় প্রতিদিন বাড়ছে দলীয় কর্মী। এছাড়া প্রায় প্রতিদিন কলকাতা থেকে ত্রিপুরা গিয়ে থাকছেন একের পর এক তৃণমূল নেতা। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার সফর করে ফেলেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। প্রায় প্রতি সপ্তাহে যাচ্ছেন, সুস্মিতা দেব, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে সংগঠন গড়ে তুলতে প্রয়োজন একটি বাড়ি বা দলীয় কার্যালয়। সেটি চিন্তা করেই এই দলীয় কার্যালয় দ্রুত তৈরি করা হবে বলে সূত্রের খবর।
ইতিমধ্যেই এই প্রস্তাব দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে জমা পড়েছে। আগরতলা শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে গিয়ে উঠতেন তৃণমূল নেতারা। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি হোটেলেও পালা করে থাকা শুরু করেছিলেন তারা। যদিও তৃণমূল অভিযোগ করেছে তাদের হোটেলে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি ব্যক্তিগত আলাপ আলোচনাতেও বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। বিশেষ করে হেনস্থার শিকার হতে হয় সায়নী ঘোষ, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এই হোটেলেই অবশ্য সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষ-সহ অনেকেই। আপাতত আগরতলার ওপর একটি হোটেলে বিভিন্ন সাংগঠনিক বৈঠক করা হয়েছে। তবে দলীয় আলোচনার জন্যে এই সব হোটেল যে যথাযথ নয় তা মেনে নিচ্ছেন নেতারা। তাই চেষ্টা করা হচ্ছে দলীয় কার্যালয় গঠনের।