২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জয়ের পর থেকেই বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারের তত্ত্ব খাড়া করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবির বারংবার দাবি করেছে, কেন্দ্র এবং রাজ্যে তারা একসঙ্গে ক্ষমতায় থাকলে আখেরে লাভ হবে জনগণের। দ্রুত গতিতে উন্নয়ন হবে রাজ্যের৷ এবার এই নীতিকেই আক্রমণ করে গান বাঁধল কংগ্রেস৷ চলতি বছরে উত্তরাখণ্ড নির্বাচনকে মাথায় রেখে ‘তিন তিগাড়া কাম বিগাড়া’ (তিনজনে কাজ ভন্ডুল করে) শীর্ষক থিম সং প্রকাশ করল তারা।
উত্তরাখণ্ডে ক্ষমতায় আসার পর মোট তিনবার মুখ্যমন্ত্রী বদলেছে বিজেপি। আর এই নিয়েই গেরুয়া শিবিরের উদ্দেশে তীব্র শ্লেষ ছুঁড়ে দিয়েছে কংগ্রেস। গানের মাধ্যমেই তাদের দাবি, আগামী নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়বে বিজেপি।
উত্তরাখণ্ড জিততে সর্বস্ব দিয়ে ঝাঁপিয়েছে কংগ্রেস৷ চাপে পড়েছে বিজেপিও। গেরুয়া শিবিরের প্রাক্তন নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াতও ডাক দিয়েছেন বদলের। কংগ্রেসের থিম সং প্রকাশের দিন তিনি বলেন, ‘উত্তরাখণ্ডের মানুষ বদল চান। তারা সেটা সামনাসামনি বলছেনও।’ এরপরই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, রাজ্যে কংগ্রেসের মুখ কে হবেন। উত্তরে রাওয়াত বলেন, ‘মানুষই আমাদের মুখ। আমরা দেখতে পাচ্ছি, মানুষই বদল চাইছেন।’ তিনি জানান, কংগ্রেসের থিম সংটি ২০২২ এর এই নির্বাচনের গুরুত্ব বোঝাবে মানুষকে, একইসঙ্গে বদলের কথাও বলবে৷
হরিশ আরও বলেন, ‘ শুধুমাত্র ক্ষমতা দখলের উদ্দেশ্যে নয়। আমরা আজ বদল চাইছি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্যে৷ ডবল ইঞ্জিন সরকারের তত্ত্ব যে একেবারে ব্যর্থ, তা কার্যত স্বীকার করেছে কেন্দ্রীয় সরকার নিজেই। এই কারণেই তিনবার মুখ্যমন্ত্রী বদল করেছে তারা৷ কিন্তু ঠিক কোন দোষে মুখ্যমন্ত্রী বদল করা হয়েছে, তা কেউ জানে না। শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানেন। তৃতীয় মুখ্যমন্ত্রীরও একই হাল হতে চলেছিল। তবে কোনওমতে তিনি পদে টিকে রয়েছেন। এটা উত্তরাখণ্ডের মানুষকে অপমান ব্যতীত অন্য কিছুই নয়।’