পলি জমে যাওয়ায় বড় জাহাজ আসা কমে গিয়েছে। ফলে গত এক দশকে কলকাতা বন্দর শুধু এই কারণেই ১৪০০ কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে। এই তখ্য অবশ্য নতুন নয়। কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের (সিএজি) রিপোর্টে আগেই পূর্ব ভারতের প্রাচীন এই বন্দরটির লোকসানের চিত্র তুলে ধরা হয়েছিল। সোমবার সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি বন্দর কর্তৃপক্ষকে চেপে ধরে জানতে চাইল এই বিপুল ক্ষতি কেন?
কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। এছাড়া বাংলা থেকে কমিটিতে আছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। সরকারি মন্ত্রকগুলি বরাদ্দ অর্থ নিয়মমেনে নির্দিষ্ট সময়ে খরচ করছে কিনা তা খতিয়ে দেখে সিএজি।
সূত্রের খবর, আলোচনায় উঠে আসে বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং ড্রেজিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার গাফিলতির দিকটি। পলি নিষ্কাশনের কাজ ড্রেজিং কর্পোরেশন ঠিক মতো না করাতেই বন্দরের এই আর্থিক ক্ষতি বলে পিএসসি-র সদস্যদের একাংশ মনে করছেন। বন্দরের তরফেও এই কাজে নজরদারি ও আন্তরিকতা কম ছিল। এই ব্যাপারে বন্দর এবং ড্রেজিং কর্পোরেশনের কাছ থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছে কমিটি।
বৈঠকে নমামি গঙ্গে প্রকল্প নিয়েও কথা হয়। দেখা যায়, ওই প্রকল্পে নজরদারির অভাব দীর্ঘমেয়াদে বড় সমস্যা তৈরি করেছে। অনেক রাজ্যই বরাদ্দ অর্থ ঠিক মতো খরচ করেনি। আবার গঙ্গার দূষণ মুক্তি ঘটাতে যেভাবে শ্মশানঘাট তৈরি করা বাঞ্ছনীয় ছিল তা হয়নি। বন্ধ হয়নি গঙ্গায় বর্জ্য ফেলাও। ফলে গঙ্গার দূষণ কাঙ্খিত মাত্রায় কমেনি।