বাজারে পেঁয়াজের দাম ৬০ টাকা কেজি ছাড়িয়ে গেলেই সাধারণ মানুষ কান্নাকাটি শুরু করে। কিছু বাড়িতে পেঁয়াজ খাওয়া কমে যায়। তবে পেঁয়াজের দাম কম হলে কৃষকরা কতটা অসহায়, তা বোঝার কেউ নেই। দেশের একটি কৃষক বাজারে পেঁয়াজের পাইকারি দাম এতটাই কম দেওয়া হল যে সেখানকার কৃষকরাও অবাক। একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, একজন কৃষক জানাচ্ছেন, কীভাবে তাঁর উত্পাদিত পেঁয়াজের দাম ব্যবসায়ীরা ঠিক করে। শেষ পর্যন্ত তিনি পেঁয়াজ বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি দেখার পরে জানা যায়, ঘটনাটি বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের মন্দসৌর জেলার। মন্দসৌর জেলার কৃষকরা খুবই হতাশ। তাঁদের উত্পাদিত পেঁয়াজের দাম শুনলে হয়তো আপনিও হতাশ হবেন। ব্যবসায়ীরা উপর থেকে পেঁয়াজের দাম ঠিক করে দিচ্ছে। কৃষকরা যা টেরও পাচ্ছেন না। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ব্যবসায়ীরা মান্দসৌরের কৃষি পণ্য বাজারে প্রতি কুইন্টাল পেঁয়াজের দাম ৫০ টাকা অর্থাৎ এক কেজির জন্য ৫০ পয়সা নির্ধারণ করে রাখছে। বাজারে উপস্থিত কৃষকরা এই দাম শুনে বিক্রি করবেন না বলে ঠিক করেন।
কিষাণ আইটি সেল১ নামে একটি অ্যাকাউন্ট টুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করেছে। ক্যাপশন সহ, ‘কেন এমএসপি আইন প্রয়োজনীয়? মধ্যপ্রদেশের মন্দসৌরে পুনমচাঁদ পতিদার নিজের উত্পাদিত পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন কেজি প্রতি ৫০ পয়সা দরে। অর্থাৎ প্রতি কুইন্টাল ৫০ টাকা। এই একই পেঁয়াজ বাজারে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ এই ভিডিও দেখেছেন। প্রত্যেকেই অবাক।
ভিডিওতে দেখা যায়, এমপির মন্দসৌরে অবস্থিত কৃষিপণ্য বাজার কমিটিতে ৫০ টাকায় ১০০ কেজি পেঁয়াজের রশিদ কেটেছে ব্যবসায়ীরা। কৃষকরা এই রশিদ নিতে অস্বীকার করেন। গত মাসের শেষের দিকে বৃষ্টির কারণে বাজারে থাকা প্রচুর পেঁয়াজ ভিজে যায়। এর পর ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের এত কম দাম চাপিয়ে দেন। যার জেরে কৃষকরা বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়েন। বাজারে পেঁয়াজের নিলাম প্রতি কুইন্টাল ১০ টাকায় শুরু হয়েছিল, তার পরে দাম ৫০ টাকা পর্যন্ত পৌঁছেছে। বাজারে এর আগে সাধারণত ১৪০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম পেতেন কৃষকরা।