এর আগে বিনা অনুমতিতেই ‘সুল্লি ডিলস’ নামক একটি অ্যাপে একাধিক মুসলিম মহিলার ছবি দিয়ে লেখা হয়েছিল, ‘তাঁরা বিক্রি হওয়ার জন্য’। যার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪-এ ধারায় যৌন হেনস্থার মামলা রুজু করেছিল দিল্লী পুলিশ। এবার ‘বুল্লি বাই’ নামক আরেক অনলাইন অ্যাপে ১০০ মুসলিম মহিলার ছবি পোস্ট করে নিলামে তোলা হল। ইতিমধ্যেই অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছে মুম্বইয়ের সাইবার পুলিশ। ওই মহিলাদের মধ্যে কয়েকজন সাংবাদিক ছাড়াও রয়েছে অভিনেত্রী শাবানা আজমি, দিল্লী হাইকোর্টের এক বিচারপতির স্ত্রীর ছবিও। দিল্লী পুলিশও এক মহিলা সাংবাদিকের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করেছে। ওই মহিলা সাংবাদিক টুইট করে বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক যে, একজন মুসলিম মহিলা হিসাবে নতুন বছরটা শুরু করতে হল এমন ভীতি,অপমান গায়ে মেখে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে ‘সুল্লি ডিলস’ অ্যাপে মুসলিম মহিলাদের ছবি ‘বিক্রির’ জন্য পোস্ট করা হয়েছিল। ‘বুল্লি বাই’-ও একই ধরনের। অ্যাপটি খুললেই মুসলিম মহিলাদের মুখ ভেসে উঠছে। ‘বুল্লি বাই’ বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। ‘বুল্লি’ মুসলিম মহিলাদের সম্পর্কে ব্যবহৃত একটি অপমানসূচক শব্দ। ‘সুল্লি ডিলস’-এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত কোনও স্পষ্ট পদক্ষেপ করা হয়নি। উল্লেখ্য, শিবসেনা সাংসদ প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী মুম্বই পুলিশ ও মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র তথা তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী সতেজ পাটিলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ‘বুল্লি বাই’-এর ব্যাপারে। অনলাইনে এমন নারীবিদ্বেষ ও মুসলিম মহিলাদের প্রতি সাম্প্রদায়িক ঘৃণা, বিদ্বেষের পরিপ্রক্ষিতে পাটিল দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেন মুম্বই পুলিশকে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মুম্বই পুলিশের সাইবার শাখা ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ (এ), ১৫৩ (বি), ২৯৫ (এ), ৫০৯, ৫০০ ধারা ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৭ ধারায় টুইটার হ্যান্ডল হোল্ডার ও বুল্লি অ্যাপ ডেভেলপারদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে।
