অব্যাহত পদ্মশিবিরের আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব। রবিবার ফের দলীয় বৈঠক এড়িয়ে গেলেন বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। একইভাবে এদিন দলের জেলা কমিটির বৈঠক থেকে দূরে থাকলেন বিজেপির কুমারগ্রামের বিধায়ক মনোজ ওঁরাও ও জেলা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য রাজু ঘোষ। আগেও দলের জেলা কমিটির দু’টি বৈঠকে সুমনবাবু গরহাজির ছিলেন। পর পর তিনি দলীয় বৈঠক এড়িয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবে গেরুয়া-পার্টির নিচুতলায় ও রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। বিজেপির জেলা সভাপতি হিসেবে ইতিমধ্যেই ভূষণ মোদকের নাম ঘোষণা করেছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। জেলা সভাপতি ঠিক হওয়ার পর এবার বিজেপির নতুন জেলা কমিটি গঠন হবে। সেজন্য রবিবার জেলা কমিটির বৈঠক হয়। চলতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যেই বিজেপির নতুন জেলা কমিটি গঠন হবে।
প্রসঙ্গত, এদিন শহরের দমকল মোড়ে দলের জেলা পার্টি অফিসে বিজেপির জেলা কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকে দলের মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা ও ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মন হাজির ছিলেন। কালচিনির বিধায়ক বিশাল লামা কিছুক্ষণ বৈঠকে থেকে বেরিয়ে যান। এর আগে পুরভোট নিয়ে দলীয় বৈঠকে বিজেপির আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক গরহাজির ছিলেন। তারও আগে জেলা কমিটির অন্য একটি বৈঠকও তিনি এড়িয়ে যান। পুরভোটের বৈঠকে সুমনবাবুকে আলিপুরদুয়ার পুরসভার ভোটে লড়ার জন্য প্রস্তাব দেন বিজেপির সরকারি কর্মচারী সংগঠনের সদস্যরা। কিন্তু সুমনবাবু পুরভোটে দাঁড়াতে চান না বলে ওই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। এবার দলের রবিবারের বৈঠকেও অনুপস্থিত থাকার ঘটনায় গেরুয়া শিবিরের আলিপুরদুয়ারের বিধায়ককে নিয়ে গুঞ্জন আরও ঘনীভূত হল।
আসন্ন আলিপুরদুয়ার ও ফালাকাটা পুরসভার ভোটের মুখে বিজেপির নিচুতলার কর্মী-সমর্থকদের মধ্যেও দলীয় বিধায়ক সুমনবাবুর দলের একাধিক বৈঠকে গরহাজিরা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে।।দলীয় বৈঠকে পর পর অনুপস্থিতির কারণ নিয়ে জানতে সুমনবাবুকে এদিন একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি। এসএমএসেরও জবাব দেননি। অন্যদিকে, বিজেপির কুমারগ্রামের বিধায়ক মনোজবাবু বলেন, “আমাকে নিয়ে গুঞ্জন অমূলক। বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকের জন্য কলকাতায় আছি। তাই রবিবারের বৈঠকে থাকতে পারিনি।” দলের জেলা কমিটির সদস্য রাজু ঘোষ জানান, ব্যক্তিগত কাজে তিনি ইসলামপুরে আছেন। তাই দলের রবিবারের বৈঠকে যাওয়া হয়নি। দলকেও সেটা জানিয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে, নানা কারণে একটি বৈঠকে সুমনবাবু নাও থাকতে পারেন। তা বলে একাধিক বৈঠকে তাঁর গরহাজির থাকা মানতে পারছেন না দলের নেতারা। আর তা নিয়েই মাথাচাড়া দিয়েছে সংশয়।