সম্প্রতি তুষারপাতের জেরে পাহাড়ে আটকে পড়া ২৩৫ জন পর্যটককে উদ্ধার করা হল। দার্জিলিংয়ের তিনটি এলাকা থেকে তাঁদের উদ্ধার করে নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়। বৃহস্পতিবার এ খবর জানিয়েছেন দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পন্নমবালম। অন্যদিকে, নতুন করে তুষারপাত না হলেও সান্দাকফু-সহ পাহাড়ের বেশকিছু জায়গা এখনও বরফের চাদরে ঢাকা। সুখিয়াপোখরির বিডিও সামিরুল ইসলাম বলেন, এখনও টংলু ও তুমলিং এলাকায় প্রায় ১০০ জন পর্যটক আছেন। তাঁদেরও উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় আগামী ১০ দিন সান্দাকফু যাওয়া বন্ধ রাখা হচ্ছে। দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক বলেন, স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ, প্রশাসন, এসএসবি এবং ল্যান্ড রোভার অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় তুষারপাত কবলিত এলাকায় উদ্ধারকাজ চালানো হয়। দু’দিনে সান্দাকফু, টংলু ও তুমলিং থেকে ২৩৫ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই মরসুমে বড়দিনে প্রথমে পাহাড়ের উঁচু উপত্যকায় তুষারপাত হয়। তারপর ফের মঙ্গল ও বুধবার বরফ পড়ে শৈলশহরে। দীর্ঘদিন পর এবার গোটা দার্জিলিং পাহাড়জুড়ে তুষারপাত হয়েছে। ফলে টাইগার হিল, সান্দাকফু, টংলু ও তুমলিং প্রভৃতি এলাকায় বহু পর্যটক আটকে পড়েন। বরফের জেরে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় নীচে নেমে আসতে পারছিলেন না তাঁরা। হোটেল, লজ ও হোমস্টেতে ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তাঁদের উদ্ধারকাজ শুরু হয়। বিকেল পর্যন্ত উদ্ধারকাজ অভিযান চালায় সুখিয়াপোখরি ব্লক প্রশাসন। কলকাতা থেকে দার্জিলিংয়ে বেড়াতে আসা উত্তমকুমার ঘোষ বলেন, তুষারপাতের জেরে এরকম সমস্যায় পড়তে হবে তা ভাবতে পারিনি। তবে স্থানীয় বাসিন্দা, ড্রাইভার, এসএসবি জওয়ান সকলে সহযোগিতা করেছেন। তাঁদের সহায়তায় লাগেজ নিয়ে নিরাপদে নীচে নামতে পেরেছি। এদিকে আবহাওয়াদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী কয়েকদিন পারদ নামতে শুরু করবে। এর জেরে ঠান্ডার মাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে পাহাড় ও সমতলে।