কেটে গিয়েছে ১৩দিন, তবে এখনও আন্দোলন প্রত্যাহার করতে রাজি নয় চিকিৎসক সংগঠন। দীর্ঘ এক বছর কেটে গেলেও স্নাতকোত্তর স্তরের নিট পরীক্ষার কাউন্সেলিং শুরু হয়নি। দ্রুত কাউন্সেলিং শুরু করার দাবিতেই বিক্ষোভ শুরু করেছিল আবাসিক চিকিৎসকরা। বিক্ষোভ কর্মসূচির মাঝেই পুলিশ চড়াও হওয়া ও মারধরের অভিযোগও ওঠে। এতেই আগুনে ঘৃতাহুতি পড়ে। পরে কেন্দ্রের আশ্বাসে আন্দোলন তুলে নেওয়ার কথা চিন্তাভাবনা করলেও, পরে চিকিৎসক সংগঠনের তরফে জানানো হল, যতক্ষণ না পুলিশ তাদের আচরণের জন্য লিখিত ক্ষমা চাইছে, তারা আন্দোলন জারিই রাখবে।
করোনাকালে চিকিৎসকরা দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করলেও, আটকে ছিল নিট-পিজির কাউন্সেলিং। ফলে চিকিৎসকদের এক বছর নষ্ট হয়েছে। আটকে থাকা সেই কাউন্সেলিং শুরু করার দাবিতেই বিক্ষোভ শুরু করেছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তের আবাসিক চিকিৎসকরা। এরই মধ্য়ে দিল্লীতে সফদরজং হাসপাতালের আন্দোলনরত চিকিৎসকদের উপর পুলিশি লাঠিচার্জ ও ধস্তাধস্তির অভিযোগ ওঠে। ঘটনার প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকরাও বিক্ষোভ-ধর্ণায় বসে।
ফেডারেশন অব রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘নিট-পিজির কাউন্সেলিংয়ের দাবিতে আমাদের শুরু করা আন্দোলন আজ ১৩ দিনে পড়ছে। নির্মল ভবনে আমাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু এখনও অবধি আমাদের কাউন্সেলিংয়ের দাবি ও টিকিৎসকদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর প্রত্যাহার করা হয়নি, তাই আমরা আন্দোলন জারি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’।
কাউন্সেলিং শুরু করা নিয়ে দায়ের হওয়া একটি মামলার যাতে দ্রুত শুনানি শুরু হয়, তা নিয়ে নতুন করে আর্জি দাখিল করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। এই বিষয়ে চিকিৎসক ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট জানান, আগামী ৬ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি রয়েছে। তারপর সঙ্গে সঙ্গেই যেন কাউন্সেলিংয়ের তারিখ ঘোষণা করা হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া পুলিশ যেভাবে আমাদের শারীরিক নিগ্রহ করেছে, তার জন্য লিখিত ক্ষমা চাইতে হবে। আন্দোলনরত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে যে এফআইআর দায়ের হয়েছে, তাও প্রত্যাহার করে নিতে হবে।