শীত বলতেই বাঙালির মনে যেসব খাবারের নামগুলি একবারে চলে আসে, তার মধ্যে অন্যতম জয়নগরের মোয়া এবং খেজুর গুড়। এবারের শীতে কি বাঙালি পেতে চলেছে তাদের প্রিয় জয়নগরের মোয়া এবং খেজুর গুড়ের ‘হাব’? এই জল্পনা উস্কে দিয়েছেন স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সাগরের প্রশাসনিক বৈঠকে জয়নগরের মোয়ার সঙ্গে খেজুর গুড়ের হাবের কথা বলেছেন তিনি। টেনে এনেছেন জয়নগরের মোয়ার ‘জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন’ তথা ‘জিআই’-এর কথাও।
বাঙালির শীতের রসনাবিলাসের অন্যতম সঙ্গী মোয়া, বিশেষত জয়নগরের মোয়া। কনকচূড় ধানের খই আর নতুন গুড় যার প্রধান উপাদান। যা আগে কলকাতার রাস্তাঘাটে মাটির হাড়ি করে বিক্রি হতে দেখা গেলেও এখন পাওয়া দুর্লভ। আর জয়নগরের মোয়া বললেই যে শব্দটা ঠোঁটের গোড়ায় এসে যায় তা হল খেজুর গুড়। যা নতুন গুড় বা নলেন গুড় নামেও পরিচিত। শীত পড়লেই বাঙালির মনটা এই গুড়ের সুঘ্রাণের জন্য আনচান করে ওঠে। অথচ, আজও শহরে-গঞ্জে খাঁটি খেজুর গুড় পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। খুব প্রত্যন্ত গ্রামে নিজেদের তত্ত্বাবধানে গুড় তৈরি করলে তা খাঁটি হয়।
এদিন তাই এই দুইয়ের হাব তৈরির কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী জয়নগরের মোয়ার ‘জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন’ তথা ‘জিআই’-এর প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন। প্রসঙ্গত, জিআই বললেই মানুষের মনে রসগোল্লার কথা চলে আসে। রসগোল্লার জিআই-বিতর্ক দীর্ঘদিন ধরে চলেছিল। আবার মসৃণ ভাবে জিআই পেয়ে গিয়েছে মিহিদানা। ২০১৭ সালে জিআই তকমা পায় বর্ধমানের সীতাভোগ এবং মিহিদানা। আর নদিয়ার সরভাজা ও সরপুরিয়াও জিআই তকমা পাওয়ার পথে।