এই মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে চলছে কোভিডের চোখরাঙানি। যার প্রভাবে করুণ দশা হয়েছে বেশ কিছু শিল্পের। ইতিমধ্যেই একাধিকবার অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হয়েছে মানুষ। আবার অতিমারি পরিস্থিতি ব্যবসায়িক প্রক্রিয়াতেও পরিবর্তন এনেছে। তবে এই সংকটজনক পরিস্থিতিতেও এক মুহূর্তের জন্যও জরুরি কাজ বন্ধ রাখেনি বন্দর কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার রাজারহাটে বিএনসিসিআই-এর একটি সম্মেলনে যোগ দিয়ে এমনই চ্যালেঞ্জের কথা শোনালেন পোর্টের চেয়ারম্যান বিনীত কুমার। আগামী দিনে শিল্পের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হতে চলেছে, গতকাল তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজারহাটে বিএনসিসিআই-এর মেলা প্রাঙ্গনে ৩৪ তম ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইন্ডিয়া ট্রেড ফেয়ারে বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও বিজিএস গ্রুপের সহযোগিতায় এই কনক্লেভের আয়োজন করা হয়। মঙ্গলবারের ওই শিল্প সম্মেলনে কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দরের চেয়ারম্যান বিনীত কুমার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্যাঙ্ক অফ বরোদার কলকাতার ডেপুটি জোনাল হেড প্রদীপকুমার দাস, আইএফএ-র সেক্রেটারি জয়দীপ মুখোপাধ্যায়, অভিনেতা কৌশিক সেন, বিএনসিসিআই-এর সভাপতি ড. অর্পণ মিত্র, সহ-সভাপতি দেবাশিস দত্ত-সহ বিশিষ্টরা।
করোনা কালে হাজারও প্রতিকূলতা পেরিয়ে জীবনের পথে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দেন বিনীতবাবু। সব নেতিবাচক চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘কোভিড আছড়ে না পড়লে সমাজ কোনওদিনই প্রযুক্তিকে বর্তমান সময়ের মতো করে গ্রহণ করত না।’ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ জানান, ‘আগে মিডিয়ার কথা চিন্তা করলেই মানুষ মুদ্রণ এবং অডিও ভিস্যুয়াল মাধ্যমকে ভাবতেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে ডিজিটাল মাধ্যম এসে গিয়েছে। তবে এই মাধ্যম এখনও মিডিয়ার অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠেনি। কিন্তু ডিজিটাল মাধ্যম খবর উপস্থাপনের পদ্ধতিতে বদল এনেছে।’